বুক চিতিয়ে লড়েও হারল বাংলাদেশ

টেস্টের রাজা ভারত। বিপরীতে বাংলাদেশ র্যাঙ্কিংয়ের তলানির দল। সাদা পোশাকে ভারত খেলেছে ৫০৭টি ম্যাচ। আর বাংলাদেশ একবারে নবীন, অভিষেক ২০০০ সালে। বলা যায়, বুড়োর সাথে শিশুর লড়াই। তারপরও বাংলাদেশ কি খুব একটা খারাপ করেছে।
দাঁতে দাঁত লাগিয়ে শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছে। রেখে গেছে প্রাপ্তির নমুনা। ১৬ বছরের বেশি সময় ধরে যে টেস্টের জন্য প্রতীক্ষায় ছিল টিম টাইগার্স। হোক সেটি এক ম্যাচ। হায়দরাবাদ টেস্ট দিয়ে সেই শূন্যটা পূর্ণ হল। যদিও দিন শেষে ২০৮ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মুশফিকদের।
শেষ দিনের সকালটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই ফিরলেন সাকিব আল হাসান। শুরুর ধাক্কাটা কাটিয়ে ওঠার জন্য খানিকটা সময় লড়ছেন দুই ভায়রা মুশফিক-রিয়াদ।
দলীয় ১৬২ রানের মাথায় ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউটের কবলে পড়েন মুশফিক। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে সাব্বির আর রিয়াদের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে বাংলাদেশ। তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। আশা জাগিয়ে ২২ রান করে বিদায় নেন সাব্বির।
সাব্বিরের বিদায়ের পরও হাল ছাড়েননি মাহমুদউল্লাহ। একপ্রান্ত আগলে রেখে লক্ষ্যের পথে রওনা করেন। খেলেন ব্যক্তিগত ১৩তম অর্ধশতকের ইনিংস। তবে ফিফটি করার পর খুব বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৬৪ রানে রিয়াদতে থামিয়ে দেন শর্মা। সাত ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর দলের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়ে।
ঠিক অন্তিম মুহূর্তে দলের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ান প্রথম ইনিংসে ৫১ রান করা মেহেদী হাসান মিরাজ। রাব্বিকে সঙ্গে নিয়ে বলের গুণাগুণ বিবেচনা করে ধীরেসুস্থে খেলে যান মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ২৩ রান করে তাঁকেও ফিরতে হয়েছে।
মিরাজ প্যাভিলিয়নে ফেরার পরই টাইগার ভক্তদের সব আশা ভেঙে খানখান হয়ে গেল। তাইজুলের ৬ আর তাসকিনের ১ রানে আউট হওয়ার মাঝে নিজের উইকেট জিইয়ে রাখেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। মজার ব্যাপার হলো রাব্বি রান করুক আর নাই করুক তাঁর রক্ষণটা ছিল উল্লেখ্য করার মতো। ৭০ বলে ৩ রান।
(ঢাকাটাইমস/১৩ ফেব্রুয়ারি/জেইউএম)

মন্তব্য করুন