আমি হাইব্রিড নেতা নই: সুন্দরগঞ্জে নৌকার প্রার্থী

জাভেদ হোসেন, গাইবান্ধা
| আপডেট : ০৯ মার্চ ২০১৭, ১০:৩৩ | প্রকাশিত : ০৯ মার্চ ২০১৭, ১০:১২

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন ঘিরে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে এই উপজেলার জনপদ। সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ভোটারদের বাড়ি যেন প্রার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে। প্রতিদিনই হাট-বাজারগুলোতে পথসভা নিয়ে ব্যস্ত এখানকার প্রার্থীরা।

কথা হয়, এই উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদের সাথে। দীর্ঘদিন শিক্ষকতার পাশাপাশি সাড়ে পাঁচ বছর চণ্ডিপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। জনসেবামূলক কাজের পাশে আওয়ামী লীগের সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সভাপতির দায়িত্বও পালন করে আসছেন তিনি। নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন ধর্মপুর ডিগ্রি কলেজের সভাপতির দায়িত্ব।

নৌকার প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ জন্ম ১৯৫০ সালের ১ জানুয়ারি। মা মরহুমা সাহেবানী বেগম। বাবা মরহুম রহিম উদ্দিন সরকার। দাদা ফকরউদ্দিন সরকার পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। বাবা রহিম উদ্দিন সরকারও ছিলেন তাই।

গোলাম মোস্তফা আহমেদ জন্মগতভাবে আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শের সৈনিক হিসেবে ছাত্রলীগ, যুবলীগের রাজনীতির সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে এখন আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি সঙ্গীত, প্রবন্ধ ও কবিতা লিখতেন। তার লেখা কবিতার বই ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়েছে। সাংসারিক ও দাম্পত্য জীবনে তিনি দুই কন্যা ও এক পুত্রের জনক।

দুই মেয়ে বেগম মুর্শীদা মালা ও ফাহমিদা আকতার মনি দুজনই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা, একমাত্র ছেলে মেহেদী মোস্তফা মাসুম একটি বালিকা হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক ও পুত্রবধূ ও শিক্ষিকা।

গোলাম মোস্তফা বলেন, একটি আদর্শ ও উচ্চ বংশের সন্তান হিসেবে আমি সত্যিই গর্বিত। আমি হঠাৎ করে উদয় হওয়া কোন হাইব্রিড নই। তিলতিল করে কাঠখড় পুড়িয়ে ত্যাগ ও পরিশ্রমের বিনিময়ে আজ সুন্দরগঞ্জে নেতা হয়েছি।

গোলাম মোস্তফা আহমেদ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ১৯৮৮ সালে চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীকে এমপি নির্বাচন করে জামায়েত ইসলামী মনোনীত আব্দুল আজিজের কাছে পরাজিত হন। ২০০৩ সালে আবারও চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন। ২০১১ সালে গোলাম মোস্তফা অবশেষে চণ্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।

২২ মার্চ সংসদ উপ-নির্বাচনে ভোটে আওয়ামী লীগের টিকিটে নৌকা মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়ছেন। তিনি সকলের দোয়া কামনা করেন। উপজেলার প্রয়াত সাংসদ লিটনের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে তিনি অঙ্গীকার ব্যাক্ত করেন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের মাস্টারপাড়াস্থ নিজ বাসভবনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংসদ লিটন।

(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :