সীতাকুণ্ডে আতঙ্কে স্কুল-কলেজ বন্ধ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানকে কেন্দ্র করে পৌরসদর আমিরাবাদ ও প্রেমতলাসহ আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। খোলেনি বেশিরভাগ দোকানপাট।
বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হয় এই অভিযান। প্রথমে সাধন কুঠির নামে একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয় পাশের ভবন ছায় নীড়ে।
এই ভবনে বুধবার রাতেই ভেতরে থাকা সন্দেহভাজন জঙ্গিদেরকে লক্ষ্য কওে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে ভরকে না গিয়ে গ্রেনেড দিয়ে জবাব দেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। রাতের নীরবতায় এই শব্দ এলাকায় ভীতির সঞ্চার করে। ভোর হওয়ার পর আবার শুরু হয় অভিযান। পুলিশের গুলির পাশাপাশি বাড়ির ভেতর থেকে শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠে এলাকা।
এই অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতার কারণে বৃহ¯পতিবার বন্ধ রাখা হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রেমতলায় এভারগ্রিন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে গিয়ে দেখা যায় সেখানে ‘আজ স্কুল বন্ধ’ লেখা নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রেমতলা এলাকার বাসিন্দা মিহির চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। এজন্য আমরা আতঙ্কিত।’
আমিরাবাদের ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলাকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। এলাকায় জঙ্গিরা কীভাবে আস্তানা গেড়েছে, কারা তাদের টার্গেট, এ নিয়ে আতঙ্কিত এলাকাাবসী। ফলে বাজারের দোকানপাট বন্ধ রেখে নিরাপদে রয়েছে মানুষ। স্কুল-কলেজগুলোও বন্ধ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।’
প্রেমতলার ছায়ানীড় ভবনে জঙ্গি আস্তানার ভেতরে আটকে পড়া পরিবারগুলোকে রক্ষায় ও জঙ্গিদের আটকে বৃহ¯পতিবার ভোর ছয়টায় অপারেশন অ্যাসল্ট সিক্সটিন অভিযান শুরু করে সোয়াত, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট, র্যাব ও পুলিশের সম্বন্বয়ে গঠিত বাহিনী।
আতঙ্ক থাকলেও সকালে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান শেষ হওয়ার খবরে কৌতুহলী মানুষ ভিড় করে ‘ছায়ানীড়’ ভবনের সামনে। তাদেকে সামলানো, পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।
ছায়ানীড় ভবনের ভেতরে আর কোন জঙ্গি নেই জানিয়ে সকাল সোয়া ১০টার দিকে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম। ভবনের ভেতর তখনও বিস্ফোরক রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। ভবনটির ছাদে শক্তিশালী বিস্ফোরক আছে জানিয়ে এটি নিষ্ক্রিয় করতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
ঢাকাটাইমস/১৬মার্চ/আইকে/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন