সিলেটের আস্তানায় দুই ‘জঙ্গি’র মৃত্যু, আছে আরও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০১৭, ২১:৩৬ | প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০১৭, ১৭:৫৮

সিলেটের দক্ষিণ সুরমার যে বাড়িতে সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে, সেখানে সন্দেহভাজন দুজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। আরও দু-একজন জঙ্গি সেখানে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। নিহত দুজন পুরুষ সদস্য।

রবিবার বিকালে অভিযানস্থলের কাছে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান অভিযান পারিচালনাকারী সেনা কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান।

ভবনটিতে বিস্ফোরক লাগানো রয়েছে জানিয়ে পুরো ভবনটি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান ফখরুল হাসান। তিনি জানান, জঙ্গিদের কাছে ছোট অস্ত্র, বিস্ফোরক রয়েছে। তারা আত্মঘাতী বেল্ট পরে রয়েছে বলেও জানান তিনি।

জঙ্গি রয়েছে এমন তথ্য পেয়ে গত শুক্রবার দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহল নামের ওই বাড়ি ঘেরাও করে পুলিশ। পরে বিকালে সেখানে ঢাকা থেকে যায় পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট সোয়াট। পরিস্থিতির জটিলতার প্রেক্ষাপটে তারা অভিযান চালাতে অপারগতা জানানোর পর সেখানে পাঠানো হয় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিট।

শনিবার সকালে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী। ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে গোলাগুলি ও বোমাবাজির পর বরিবার বিকালের দিকে জঙ্গিদের পরাস্ত করতে গ্যাস ছুড়ে সেনাবাহিনী। বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে ব্রিফিং করা হয়।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান বলেন, তারা বাড়িটির অবস্থানগত কারণে অভিযান চালাতে কিছুটা বাধার মুখে পড়ছেন। বাড়িটির দেয়ালে দেয়ালে উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরক বাধা আছে।

এই সেনা কর্মকর্তা জানান, এখনো অভিযান শেষ হয়নি। এটি চলমান। কখন অভিযান শেষ হবে সেটিও বলা সম্ভব নয়। তিনি জানান, ভেতরে যে কয়েকজন আছেন, তাদের তারা জীবিত ধরতে চান। তিনি জানান, যে দুজন নিহত হয়েছেন, তাদের একজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছেন। ভেতরে থাকা সবার গায়ে এই আত্মঘাতী বেল্ট বাঁধা রয়েছে।

এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, তাদের অভিযানের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করে আনা। জঙ্গিরা ভেবেছিল কমান্ডোরা সামনে দিয়ে বাড়িতে ঢুকবেন। কিন্তু তারা ঢুকেছেন বাড়ির ছাদ দিয়ে। এ কারণে জঙ্গিরা বুঝতে পারেনি। এবং ৭৮ জনকে নিরাপদে বের করে আনতে পেরেছেন তারা।

এক প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল হাসান বলেন, এই অভিযানে তাদের কেউ আহত হননি।

শনিবার এই বাড়িটিকে ঘিরে অভিযান শুরুর পর রাতে ঘটনাস্থল অদূরে দুটি বোমার বিস্ফোরণে নিহত হয় ছয়জন। এদের মধ্যে রয়েছেন জালালাবাদ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম ও আদালত পুলিশের পরিদর্শক চৌধুরী মো. আবু কয়সার। তারা দুই জনই পুলিশের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দলের সদস্য ছিলেন।

নিহতরা অন্যরা হলেন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের উপ পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জান্নাতুল ফাহিম, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুল ইসলাম অপু, নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার বাসিন্দা ডেকোরেটর ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম ও খাদিম শাহ।

এ ছাড়া র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান আবুল কালাম আজাদ এবং গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা শাহীন আজাদ আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানো হচ্ছে। আর শাহীন আজাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালেই চিকিৎসা দেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/জিএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে: স্পিকার

‘ভোগ্যপণ্যের সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসবে না’

গাজায় যুদ্ধাপরাধে দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সুন্দরবনের আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে, তবে ফের জ্বলে উঠতে পারে

আগামী বছরগুলোতেও এমন গরম আসতে পারে, প্রস্তুত থাকার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

আরও তিনটি মেরিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে: নৌ প্রতিমন্ত্রী

আর্থিক সক্ষমতা বিবেচনায় পরিকল্পনা প্রণয়নের আহ্বান ইউজিসির

তাপজনিত ঝুঁকি এড়াতে স্বাস্থ্য নীতিমালা প্রকাশ

দেশে ২২ হাজার দক্ষ ধাত্রী প্রয়োজন, আছে ২৫৫৭

নির্দেশনা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :