বৃষ্টি ঢুকে পড়েছে প্রধান বিচারপতির এজলাসেও

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৬ জুলাই ২০১৭, ২২:১৮ | প্রকাশিত : ২৬ জুলাই ২০১৭, ১৪:২৫
বৃষ্টির পানি জমেছে সুপ্রিম কোর্টে, ঢুকেছে প্রধান বিচারপতির এজলাসেও

বৃষ্টির পানি নির্ভয়া। মানে না না কোনো বাধা। যদি সুযোগ মেলে তাহলে বাদ পড়ে না প্রধান বিচারপতির বিচার কক্ষও। ৫০ বছর পুরনো ভবনটি যে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে, সেটা জানান দিতেই বৃষ্টির পানি চুইয়ে ঢুকে পড়েছে সেখানে।

মঙ্গলবার রাত থেকেই বৃষ্টি ঝরছে অঝোর ধারায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনে প্রধান বিচারপতির এজলাসহ বিভিন্ন জায়গা দিয়ে পানি পড়তে দেখা গেছে। ভবনের ছাদের বিভিন্ন ফাটল দিয়ে এ পানি পড়ছে।

বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজও স্বীকার করেছেন।

ঢাকাটাইমসকে সাব্বির বলেন, ‘পলেস্তরা উঠে ভবনের ছাদের বিভিন্ন ফাটল দেখা দিয়েছে। সেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ছে। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির এজলাসের কয়েকটি জায়গাও রয়েছে।’

বৃষ্টি পড়ার কারণে বিচার কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট মূল ভবনের সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। ইতিপূর্বে বিষয়টি নিয়ে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠিও পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।

সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম গণমাধ্যম কর্মীদেরকে, ‘ভবন সংস্কারের জন্য আইন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে বলে আশা করছি আমরা।’

সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন গত ২০ জুন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ভবন সংস্কারের জন্য চিঠি দেয়। ওইদিনই আইনমন্ত্রী ও আইন সচিব সুপ্রিম কোর্টের মূলভবনটি পরিদর্শন করেন।

চিঠিতে বলা হয়, ‘সুপ্রিমকোর্টের মূল ভবনের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ায় আদালত কক্ষে রাখা নথি সংরক্ষণ ও আদালত কার্যক্রম পরিচালনা হুমকির মুখে পড়েছে। মূল ভবনটির ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন। সংস্কার কাজ করার জন্য এ ভবনের আদালত কক্ষ ও অফিসগুলো সাময়িকভাবে অন্য কোনো ভবনে স্থানান্তর দরকার।’

চিঠিতে সুপ্রিমকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে খালি জায়গায় প্রস্তাবিত ১২ তলা আদালত ভবন নির্মাণে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দেয়া হয়। এছাড়া সুপ্রিমকোর্টে বিচার কাজ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত এজলাস তৈরি ও বিচারপতি নিয়োগের দাবিও জানানো হয়।

চিঠিতে আরো বলা হয়, বর্তমানে ৯৩ জন বিচারপতি রয়েছেন, যাদের স্বতন্ত্র চেম্বার নেই। ফলে কোনো কোনো চেম্বারে দুইজন বিচারপতিকে একসঙ্গে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়া মামলা নিষ্পত্তির জন্য ভবিষ্যতে অধিক সংখ্যক বিচারপতি নিয়োগও প্রয়োজন। মামলার সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিপুল পরিমাণ নথি কক্ষের মেঝেতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। যার কারণে এসব নথি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের বয়স প্রায় ৫০ হয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে ১৯৬৫ সালে মূল ভবনটির নির্মাণকাজ করা হয়। শেষ হয় কয়েক বছর পর

(ঢাকাটাইমস/২৬ জুলাই/এমএবি/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যামামলা: আপিল শুনানি দ্রুত করতে আসামির আবেদন

পরিবেশ রক্ষায় ঢাকাসহ সারাদেশে গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট

এ জে মোহাম্মদ আলীর সম্মানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী আর নেই

লভ্যাংশের টাকা আত্মসাৎ মামলা: ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আজ

সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও শক্তিশালী হবে: প্রধান বিচারপতি

জি কে শামীমের জামিন ঘিরে আবারও প্রতারণা, এক সপ্তাহ নিষিদ্ধ আইনজীবী 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিবের বিরুদ্ধে মামলা

ধর্ষণ মামলায় মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন

ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :