চরভদ্রাসনে পাবলিক টয়লেট সংকট

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর বাজারে পাবলিক টয়লেট সংকটে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন সদর বাজারের কয়েকশ ব্যবসায়ীসহ হাজারও পথচারীরা।

এই সদর বাজারটিতে ছোট-বড়সহ প্রায় পাচঁশ’র মত বিভিন্ন দোকান ঘর ও ব্যবসায়ী রয়েছেন। আর তার সাথে প্রতিদিন বিভিন্ন দূর-দুরান্ত থেকে আসা খদ্দের, কোম্পানির লোকজন ও পথচারীসহ বাজারটিতে প্রতিদিন প্রায় দুই হাজারেরও বেশি লোকজনের চলাফেরা আসা-যাওয়া করেন। ফলে প্রতিদিন এতগুলো মানুষের যাতায়াতের দরুণ প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বাজারটিতে পাবলিক টয়লেট রয়েছে মাত্র একটি। যা এতগুলো মানুষের প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল।

অপরদিকে সেটিও আবার দীর্ঘদিন ধরে নোংরা ও পরিত্যক্ত অবস্থায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে দিনের পর দিন পড়ে রয়েছে।

সরেজমিনে বুধবার সকালে সদর বাজরের দর্জি মার্কেট রোডে অবস্থিত পাবলিক টয়লেটটি ঘুরে দেখা যায়, টয়লেটটির প্রবেশ পথে বিভিন্ন নোংরা, নর্দমা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এবং তার থেকে মারাত্মক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। টয়লেটটির দেয়ালের কিছু কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। সেই সাথে টয়লেটটির ছাদে ও এর আশেপাঁশে বিভিন্ন আগাছা জন্মে টয়লেটটি সম্পূর্ণ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

টয়লেটটির বিষয়ে সদর বাজারের ব্যবসায়ী মো. রকমত দেওয়ান জানান, আমরা এ বাজারে প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা ব্যবসা-বাণিজ্য করি। অনেক সময় আমাদের দোকানে অনেক খদ্দের ও বিভিন্ন কোম্পানির লোকজন আসে এবং অনেক সময় তাদের প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তখন বাজারটিতে পাবলিক টয়লেট না থাকায় তাদের প্রয়োজনের প্রেসাব-পায়খানা মেটাতে চরম কষ্ট ও দুর্ভোগে পোহাতে হয়।

সদর বাজারের আরেক ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আ.লীগ নেতা মোতালেব মোল্যা জানান, বাজারটিতে পাবলিক টয়লেট না থাকার বিষয়টি সত্যিই আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক। কেননা, এত বড় বাজারে প্রতিদিন এতগুলো মানুষের জন্য একটিও পাবলিক টয়লেট থাকবে না- এটা বাজার ব্যবসায়ী ও বাজারের জন্য ভালো দেখায় না।

তিনি আরও বলেন, প্রতি বছর সরকার এ বাজার থেকে অনেক রাজস্ব আয় করে থাকে, তাই এ বাজারের ভালো-মন্দ ও বাজার ব্যবসায়ীদের সুবিধা-অসুবিধার উপরও সরকারের নজর দেয়া উচিৎ।

বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি শহিদুল মোল্যার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি গত ১৫ বছর ধরে দেখছি বাজরের এই একটি মাত্র পাবলিক টয়লেটটির একই অবস্থা দেখছি। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে টয়লেটটির মেরামত ও সংস্কারের জন্য বছরে অর্থ বরাদ্দ হলে মেম্বাররা কিছু টাকা দিয়ে টয়লেটটির কিছু টুকটাক কাজ করলেও টয়লেটটির ভালভাবে কোন কাজ করা হয় না। ফলে টয়লেটটি কিছুদিন কোনোমতে ব্যবহার করা গেলেও পরে আর টয়লেটটি ব্যবহারের উপযোগী থাকে না।

(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/এলএ)