আট দিনে এসেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:৫১ | প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৮:১৫

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে গত আট দিনে সহিংসতার কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজারে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বা ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা ভিভিয়ান ট্যান বলেছেন, যেভাবে লোক আসছে তাতে আর কয়েক দিনেই সীমান্তে যে শিবিরটি আছে তা পুরো ভরে যাবে। খবর বিবিসি বাংলার।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তনিও গুটেরেস সেখানে একটি মানবিক দুর্যোগ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে, কিন্তু বাংলাদেশে পালিয়ে আসা লোকেরা বলছে, সৈন্যরা তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এবং তাদের ওপর গুলি চালিয়েছে। মিয়ানমারের সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে।

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আজ বলেছে, সেখানে কেবল একটি রোহিঙ্গা গ্রামেই সাতশ বাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বলে তারা স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখতে পাচ্ছে।

এর আগে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ান যেভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে তাকে রীতিমত গণহত্যা বলে বর্ণনা করেন।

সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, এখনো প্রতিদিনই হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ পালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসেবে আজকে পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।

যদিও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবি এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য তারা সীমান্তে তৎপর রয়েছেন। কিন্তু গত দু'দিন ধরে সীমান্তে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হচ্ছে বলে সূত্রগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে বলছে।

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলছিলেন, একেবারে দুস্থ মহিলা এবং শিশুদের জন্য কিছু ক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের ফিরিয়ে দিচ্ছি। ফিরিয়ে দেয়ার পরও মানবিক দিক বিবেচনা করে যারা নিতান্তই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মহিলা, শিশু এবং বেশ কিছু আহত, তাদেরকে তো আমাদের আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, এগুলো না দিলেই নয়। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন, এখনও আমরা সেটা দিযে চলেছি।’

এইচ টি ইমাম আরও বলেছেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা এই আক্রমণের শিকার,তাদের নিরাপত্তা দিতে হলে মিয়ানমারের মধ্যেই দিতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক রেড ক্রসই করতে পারে।”

হাজার হাজার শরণার্থী বাংলাদেশে ঢুকে আশ্রয় এবং খাবারের জন্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

কক্সবাজার থেকে রেড ক্রিসেন্ট এর সহকারি পরিচালক সেলিম আহমেদ বলছিলেন, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সংঘাত শুরুর পর পরই রোহিঙ্গা যারা বাংলাদেশে ঢুকেছে, তাদের বেশির ভাগই উখিয়ার কুতুপালং এ নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৩সেপ্টেম্বর/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

উপজেলা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত

উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ কাল

সুন্দরবনে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কমিটি

উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে দেড় লক্ষাধিক আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন

১ কোটি পরিবারের জন্য টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু মঙ্গলবার

সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব

‘গোল্ডেন রাইস-বিটি বেগুন বাণিজ্যের জন্যই করা হয়েছে’

ভোটের আগে-পরে ১৪ দিন বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা

দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার আহ্বান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :