মঠবাড়িয়ায় ওসির ওপর হামলা, ৩৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যকর হাবিব তালুকদার হত্যার জের ধরে শনিবার রাতে তুষখালী লঞ্চঘাটে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মঠবাড়িয়া থানার ওসি কেএম তারিকুল ইসলাম আহত হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ওই হামলার ঘটনায় ওসি বাদী হয়ে রবিবার বিকালে ৩৮ জনের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দান ও পুলিশ কর্মকর্তার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন।

থানা ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া উপজেলার বুড়িরচর গ্রামের হাবিব তালুকদার হত্যা মামলার আসামি ও লঞ্চঘাটের ইজারাদার হিমু তালুকদারের জামাতা ব্যবসায়ী সলিম পঞ্চায়েতের সাথে নিহত হাবিব তালুকদারের পুত্র দুবাই প্রবাসী মানিক তালুকদার, সোহেলের শনিবার সকালে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সলিম পঞ্চায়েতকে মারধর করা হয়। এসময়ে পাশের হরিণপালা গ্রামের সুমন নামে এক ব্যক্তি সলিম পঞ্চায়েতকে রক্ষা করতে এলে তাকেও ধাওয়া করে।

নিহতের ছেলে মানিক তালুকদার জানান, হরিণপালা গ্রামের সুমনের নেতৃত্বে ৮০/৯০ জনের একটি দল সন্ধ্যায় তুষখালী লঞ্চঘাটে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে লঞ্চঘাটে শ্রমিকলীগ অফিস ও বেল্লাল জমাদ্দারের হোটেলসহ দুটি তালাবদ্ধ দোকানঘর ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতি করে।

মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাজহারুল আমিন জানান, হামলা ও দোকান ভাঙচুরের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা থানার ওসি কে.এম. তারিকুল ইসলাম ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং দুজনকে আটক করে। এসময় হামলাকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওসির ওপর হামলা চালায়। এতে জিআই পাইপের আঘাতে ওসি হাতে আঘাতপ্রাপ্ত হন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় সুমনসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)