রোটেশন বন্ধ না করেই আদালতে সময় চাইলেন মালিক পক্ষ

ভোলা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০০

ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী দুর্ভোগ ও লঞ্চ রোটেশন মামলায় আদালতে সময় চেয়ে আবেদন করেন লঞ্চ মালিক পক্ষ। মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামানের কোর্টে মালিক পক্ষের উকিল অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে অ্যাডভোকেট মো. ইউছুফসহ কয়েকজন আইনজীবী সময়ের জন্য আবেদন করেন।

আদালত তাদের আগামী সোমবার পর্যন্ত সময় প্রদান করেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মোরশেদ কিরণ তালুকদার ও অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম।

এর আগে গত ১৯ লভেম্বর রোটেশন প্রথা বাতিল ও যাত্রী হয়রানি বন্ধে ভোলা চিফ জুডিসিয়াল কোর্টে ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিন কুট্টি বাদী হয়ে ভোলার সাত লঞ্চ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে কেনো ব্যবস্থা নেয়া হবে না মর্মে সমন জারি করেন।

এছাড়াও ভোলা-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রীদের ভোগান্তি লাগবে গত ১১ নভেম্বর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবহিত করেন সে সাথে যাত্রীদের সুষ্ঠুভাবে চলাচলের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ভোলার নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিবহন পরিদর্শক নাসিম আহমেদকে গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।

ওই দিনেই ভোলা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক বরাবর রোটেশন ও যাত্রী দুর্ভোগের কথা জানিয়ে প্রয়জনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়। কিন্তু প্রতিবেদন পাঠানোর এক মাস পার হতে চললেও পরিচালক তার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি এবং রোটেশনও বাতিল হয়নি।

রোটেশন ও যাত্রী দুর্ভোগ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ভোলার সাধারণ মানুষ লঞ্চ মালিকদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ এগুলো ভ্রুক্ষেপ না করে বিআইডব্লিউটিএর আইন অমান্য করে তাদের অবৈধ রোটেশন প্রথা চালু রেখেছেন। এ নিয়ে ভোলার সাধারণ মানুষের মনে লঞ্চ মালিকদের ক্ষমতার দাপট নিয়েও নানা প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম জানান, আদালতের নোটিশ পাওয়ার পরই লঞ্চ মালিক পক্ষ এ অবৈধ রোটেশন প্রথা বাতিল করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা এ রোটেশন প্রথা বাতিল না করে কালক্ষেপনের জন্য আদালতে সময় চেয়েছেন। আদালত সাত দিনের সময় দিলেও আমরা আশা করব আগামী তারিখেই রোটেশন প্রথা বাতিল না করলে আদালত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

ভোলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোলার লঞ্চ মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে রোটেশন প্রথার নামে মানুষকে জিম্মি করে রেখেছে।

(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :