ছাদে শখের ফল বাগান
নিজের একটু ইচ্ছা আর সামান্য শ্রম দিলেই কিন্তু আপনার বাড়ির ছাদ হয়ে উঠতে পারে একখণ্ড সবুজের আঙিনা। গ্রামের উর্বর মাটিতে যে ফুল, ফল কিংবা সবজি বাগান আমরা দেখে মুগ্ধ হই, আগ্রহ থাকলে তাকে তুলে আনা সম্ভব শহরের বহুতল ভবনের ছাদেও। নিজেদের হাতে ফলানো যেতে পারে বিষমুক্ত ফলমূল, শাক-সবজি। এভাবে মেটানো যেতে আমাদের দৈনন্দিন পুষ্টির চাহিদাও।
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পৌর এলাকার মহিলা কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা কৃষকলীগ নেতা ও জেএম ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ তার তিন তলা বাড়ির পুরো ছাদ দৃষ্টিনন্দন ফলের বাগানে সাজিয়েছেন। তার ছাদের যেদিকে চোখ যায়, শুধু ফল গাছ। ফলে ফলে ছেয়ে গেছে ছাদের সাজানো বাগান। ছাদের পাশাপাশি বাড়ির চারপাশের বেলকোনেও ঝুলছে ফল। ফলেছে নানান রঙের ফল।
সারি সারি টবে রাখা গাছগুলো যে কারো নজর কাড়তে সক্ষম। ২০ জাতের দেশি-বিদেশি জাতের ফল, ওষুধি ও শোভাবর্ধন গাছ রয়েছে। তার বাগানে যেসব গাছ আছে, তার মধ্যে কয়েকটি হলো- আম, জাম্মুরা, মাল্টা, কমলা, বার মাসি আমড়া, পেয়ারা, আখ, জামরুল, আমলকি, তেজপাতা।
গফরগাঁও জেএম ফাজিল মাদ্রাসার আইসিটি শিক্ষক ও লংগাইর ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমার লক্ষ্য একটাই- প্রতিটি জায়গায় হোক গাছের আবাস। প্রতিটি গাছই হোক মানুষের বেঁচে থাকার হাতিয়ার।
দৃষ্টিনন্দন এই বাগান তৈরি করা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অধিক জনসংখ্যার এই দেশে অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে ভবন নির্মাণের ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাগান করার উপযুক্ত জায়গা। বাড়ির ছাদে সবুজ বাগান গড়ে তুলতে তাই এই প্রয়াস। শুধু তিনি একা নন বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের বাড়ির ছাদে বাগান করতে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন ওয়াদুদ।
তিনি আরো জানান, পাঁচ বছর আগে স্থানীয় মহিলা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন চার শতাংশ জমির ওপর তিন তলা একটি ভবন নির্মাণ করেন। ভবনটি নির্মাণের সময় তিনি ছাদে ফল বাগান করবেন এমন চিন্তা থেকেই অতিরিক্ত রড-সিমেন্ট ব্যবহার করে ঢালাই করান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার পাল বলেন, বাড়ির ছাদে ফল বাগান অবশ্যই প্রশংসনীয়। যা অন্যদের অনুকরণীয়। সময় নিয়ে অবশ্যই দেখতে যাব শিক্ষক ওয়াদুদের ফলের বাগান।
(ঢাকাটাইমস/১৪সেপ্টেম্বর/আঞ্চলিক প্রতিনিধি/এলএ)