কপাল খুলতে পারে পান্নার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৮:৫২| আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৬, ০৯:১৬
অ- অ+

আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে যাদের নাম আলোচনায় রয়েছে তাদের একজন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না।

আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবরের এই জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হবে দলের নেতৃত্ব। এই কমিটি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলের দায়িত্ব পালন করবে। সে কারণে এই সম্মেলনকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে ক্ষমতাসীন দল। দলে সাংগঠনিকভাবে দক্ষ ও অভিজ্ঞদেরকে নেতৃত্বে নিয়ে আসতে চাইছে দলটি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সম্মেলনের পর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বেশকিছু পদে আসতে পারেন তরুণ নেতারা। দলের সহযোগী সংগঠন সাবেক নেতাদের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষ, দল ও দলীয় নেতৃত্বের প্রতি নিবেদিতরা এবারের কাউন্সিলের মাধ্যমে মূল্যায়িত হবেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতারাই মূলত এ ক্ষেত্রে এগিয়ে। এই হিসাবেই আলোচনায় আসছে পান্নার নাম।

১৯৯৪ সালে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন যথাক্রমে এ কে এম এনামুল হক শামীম এবং ইসহাক আলী খান পান্না। ২০১২ সালের সম্মেলনের পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন শামীম। কিন্তু ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক হন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের সাবেক একনেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পান্নভাই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালে। দায়িত্ব পেয়েই তিনি তৎকালীন সরকার বিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে শামীম ভাই-পান্না ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেছিলাম আমরা।’

ওই নেতা বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতবিরোধী আন্দোলনেও সামনের সারিতে ছিলেন পান্না ভাই। ২০০৭ সালে একএগারোর পটপরিবর্তনের পর তিনি নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। এ কারণে তৎকালীন সরকারের রোষানলে পড়তে হয়েছিল তার পরিবারের সদস্যদেরও।’

পান্নার অনুসারী ওই নেতা বলেন, ‘পান্না ভাই দলের দুঃসময়ে সবসময় মাঠে ছিলেন। বিভিন্ন কারণে দলে কোন পদপদবি পাননি। পিরোজপুরের কাউখালী-ভাণ্ডারিয়া থেকে মনোনয়নও পাওয়া কথা ছিল তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন পাননি।’

নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘পান্না দীর্ঘদিন রাজনীতি করছে কিন্তু সেভাবে লাইমলাইটে আসতে পারেনি। আবার তাঁর জীবন সঙ্গীনি ছাত্রলীগের সাবেক নেত্রী আইরিন সুলতানা বাঁধনও কিছুদিন আগে মারা গেছেন। বাঁধন শুধু তাঁর জীবনসঙ্গী নয়, রজনৈতিক সহচরও ছিলেন। এসকল বিবেচনায় দলের নীতি নির্ধারকদের বিবেচনায় আছেন তিনি।’

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/টিএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
চাটমোহরে ২০ লক্ষাধিক টাকার অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল পুড়িয়ে ধ্বংস
নির্বাচনের আগেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে: রাশেদ প্রধান 
কমিউনিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ১৫০ কোটি টাকার মাইলফলক অতিক্রম!
মাধবপুর পৌর আ. লীগের সভাপতি সেলিম গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা