‘মৃত্যুর’ ৬৮ দিন পর বাড়ি ফিরলেন হুমায়ন
দোয়া মাহফিল থেকে শুরু করে ধর্মীয় সব অনুষ্ঠানই শেষ হয়েছে। নিহতের পরিবারে এখনো কাটেনি শোকের মাতম। নিকটাত্মীয় ও প্রতিবেশিরা গিয়ে মাঝে মাঝে সান্তনা দিচ্ছিলেন স্বজনদের। কিন্তু ৬৮ দিন পর হঠাৎ ‘মৃত’ ব্যক্তি এসে হাজির হন বাড়িতে। তাকে দেখে হতভম্ব পরিবার। এ যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায়।
জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হাটফাজিলপুর বিশ্বাসপাড়া মসজিদের পাশ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একদিন পর মরদেহটি মাগুরার ইছাখাদা গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে হুমায়ন কবীরের বলে সনাক্ত করেন পরিবার।
দাফনের পর নিহতের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল সম্পন্ন করা হয়। কিন্তু ৬৮ দিন পর ‘নিহত’ হুমায়ন বাড়িতে হাজির হন। তাকে থেকে হতভম্ব হয়ে যান পরিবার। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে হাজির হন তিনি। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছে তাকে হস্তান্তর করে পুলিশ।
হুমায়ন জানান, পরিবারের সঙ্গে রাগারাগি করে ১১ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির পর যশোরের মনিরামপুরে দর্জির কাজ নেন। এরমধ্যে একবার ভারতও ঘুরে আসেন।
ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে হুমায়ন জানান, এক আত্মীয়ের কাছ থেকে নিজের দাফন করার খবরটি জানতে পেরে তিনি বিচলিত হয়ে যান। সিদ্ধান্ত নেন পুলিশের কাছে যাওয়ার। সে মোতাবেক সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝিনাইদহ পুলিশ সুপারের অফিসে উপস্থিত হয়ে নিজের ‘অন্তর্ধানের’ কথা পুলিশকে অবহিত করেন তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ তাকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, শৈলকুপায় পাওয়া মরদেহটি হুমায়ন কবীরের নয়। মরদেহটি কার তা জানার চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, হুমায়ন কবীরের বিরুদ্ধে মাগুরা থানায় চাঁদাবাজি ও পর্ণোগ্রাফি আইনে দুটি মামলা রয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর তিনি এই দুই মামলা থেকে জামিন পান।
(ঢাকাটাইমস/২৮নভেম্বর/প্রতিনিধি/এমআর)