পারটেক্স চেয়ারম্যান হাশেমের ছেলেকে রিমান্ডে পায়নি দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০১ | প্রকাশিত : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৬:১০

রাজধানীর পূর্বাচলে আবাসিক প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির এক মামলায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী এবং পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি এমএ হাসেমের ছেলে শওকত আজিজ রাসেলকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। এর মধ্যে শওকত আজিজ রাসেলের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিল দুদক। তবে আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে দুজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে শওকত আজিজের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে যে কোনো দুই দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয়া হয়।এছাড়া অন্য আসামি আজিজকে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বা বারডেম হাসপাতালে প্রিজন সেলে চিকিৎসা এবং সাবেক সচিব ইকবালকে প্রথম শ্রেণির কয়েদির মর্যাদার বিষয়ে কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার তাদের কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

এর আগে প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির এই মামলায় বুধবার রাতে শওকত আজিজ ও ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী গ্রেপ্তার করে দুদক। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস আসামিদের মধ্যে ইকবালকে কারাগারে পাঠানোর এবং শওকত আজিজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

দুদকের পক্ষে ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন মাহমুদ। এছাড়া আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কাজী নজিব উল্ল্যাহ হিরু, হোসেন আলী খান হাসান।

ইকবাল উদ্দিন চৌধুরী ২০০১ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত রাজউকের চেয়ারম্যান ছিলেন। আর শওকত আজিজ ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (ইউসিবিএল) পরিচালক, অ্যাম্বার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন।

মামলায় বলা হয়, পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান শিল্পপতি এম এ হাসেমের ছেলেন আশফাক আজিজ রুবেল এবং শওকত আজিজ রাসেল শিল্পপতি কোটায় রাজউকে রাজধানীর পূর্বাচল আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠার দুটি প্লটের জন্য ২০০১ সালের ২৩ আগস্ট আবেদন করেন। আবেদনের সঙ্গে তারা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জামানত জমা দেন। রাজউক থেকে প্রথম পর্যায়ে ৩২ হাজার আবেদন থেকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু ওই বরাদ্দে প্লট না পাওয়ায় তারা ২০০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামানতের টাকা উঠিয়ে নেন। পরবর্তীতে তারা প্লটের জন্য আর কোনো আবেদন করেননি।

২০০৪ সালের ১ জুন রাজউক অবশিষ্ট আবেদন থেকে এক হাজার জনকে প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ২০০৪ সালের ২ জুন প্রকাশিত তালিকায় এক হাজার জনের মধ্যে শওকত আজিজ এবং আশফাক আজিজের নাম দেখা যায়। নতুন কোন আবেদন না থাকার পরও এবং জামানত তুলে নেওয়ার পরও পরষ্পরের যোগসাজসে বেআইনিভাবে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌস গ্রেপ্তার করা আসামিদেরসহ আটজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রাজউকের সাবেক সদস্য (উন্নয়ন) এসডি ফয়েজ, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) একেএম ওাহেদুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (অর্থ) এসএম জাফর উল্লাহ, সাবেক সদস্য (প্রশাসন ও ভূমি) এইচ এম জহিরুল হক, সাবেক সদস্য (স্ট্রেট) রেজাউল করিম তরফদার ও পারটেক্স গ্রপের পরিচালক আশফাক আজিজ রুবেন।

(ঢাকাটাইমস/৯ফেব্রুয়ারি/আরজে/জেবি/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

শপথ নিলেন আপিল বিভাগের নতুন তিন বিচারপতি

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :