রাজধানীর সড়কের এই হাল!

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০৯:৫৫ | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৭, ০৮:০৪

রাজধানীর মোহাম্মাদপুর বেড়িবাঁধ এর পশ্চিমে একটি এলাকা নবীনগর। রাজধানীর অধিক জনবহুল এলাকার মধ্যে এটি একটি। কিন্তু দীর্ঘ সময় যাবৎ সড়ক ও পয়নিস্কাশনের সমস্যায় ভুগছেন এ এলাকার বাসিন্দারা। রাস্তা ভেঙে কোথাও কোথাও তৈরি হয়েছে তিন থেকে চার ফুট গভীর গর্ত। কোথাও বা ম্যানহলের পানি।

চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে নবীনগর। এলাকাটিতে মোট ১৫টি রাস্তা থাকলেও ১৫টি রাস্তারই বেহাল দশা। অপরিকল্পিত ভাবে বাড়ি ঘর নির্মাণ ও নির্মাণসামগ্রী রাস্তায় ফেলে রাখার ফলেই এমন দশা, দাবি স্থানীয় ভুক্তভোগীদের। অনেকের দাবি, নির্মাণসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে রাখায় বৃষ্টির পানির সাথে তা পৌঁছেছে পয়নিষ্কাশনের লাইনে। বন্ধ হয়ে গেছে পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে, অনেক স্থানেই সুয়ারেজ পানিতে রাস্তা সয়লাব।

স্থানীয় বাসিন্দা মোশারফ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘অনেক বছর ধইরাই আছি। যেমন আছিলো, তেমনি আছে। দিন দিন অবস্থা খারাপ হইতাছে। বাড়িয়ালারা চাইলে রাস্তাগুলা ঠিক করতে পারে। কিন্তু কেউ করে না। বাড়িয়ালারা তো এইহানে থাকে না। থাকলে বুজত।’

স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকাটি ‘মোহাম্মাদীয়া হাউজিং লিমিটেড’ এর আওতাভুক্ত। তারাই জমিগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। জমি বিক্রির জন্য প্রথমে হাউজিং এর পক্ষ থেকে রাস্তা ও সুয়ারেজ লাইন তৈরি করা হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন সময়ে কিছু কিছু স্থানে মেরামত করা হয়। কিন্তু অনেক বছর যাবৎ রাস্তার কাজে হাত দেয়নি হাউজিং কমিটি।

প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাস্তায় যানবাহন উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তার অবস্থা খারাপ থাকায়, প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম যানবাহনই চলে এখানে। ফলে, স্থানীয় শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে নবীনগরবাসীর জন্য আশার বাণী শোনালেন মোহাম্মাদীয়া হাউজিং লিমিটেড এর নবীনগর প্রকল্পের ব্যবস্থাপক রুহুল আমীন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘তিন বছর হলো জমি বিক্রি করেছি। জমি হস্তান্তরও করেছি। কিন্তু এখনো পুরো টাকা পাইনি। আমাদের এই প্রজেক্টে এমন ঘটনা অনেক। রাস্তা আমরা করেছিলাম। আবার কাজ ধরার উদ্যোগ ছিল। মূলত, জমি হস্তান্তরের পর একাজটা জমি মালিকদের। তবে, এখন কাজটা সিটি করপোরেশন করবে। এই সপ্তাহখানেক আগে নবীনগর হাউজিংটি সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/কারই/কেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :