মিয়ানমারের ১৩ রোহিঙ্গা ১৪ দিন হেঁটে ফেনীতে

আরিফ আজম, ফেনী থেকে
 | প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২৩:৪৫

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে সাত শিশুসহ ১৩ রোহিঙ্গা সদস্য ১৪ দিন হেঁটে হেঁটে বাংলাদেশে এসেছেন। সেখান থেকে ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এসেছেন। সেখানে চর দরবেশ ইউনিয়নের চর সাহাভিকারী গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তারা। গত সোমবার রাতে ওই এলাকার একটি বাড়িতে তাদের শনাক্ত করা হয়। তারা নিজেদেরকে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের তাংবাজার থানা এলাকার বইচি ধাং মরু ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে পরিচয় দিয়েছেন।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, মিয়ানমারে চলমান সহিংসতা ও হত্যাযজ্ঞ থেকে জীবন বাঁচাতে ১৩ জনের একটি রোহিঙ্গা পরিবার দীর্ঘ ১৪দিন পায়ে হেঁটে পাহাড়িপথ দুর্গম এলাকা পাড়ি দিয়ে গত বৃহস্পতিবার টেকনাফের উখিয়ায় এসে অবস্থান করেন। সেখান থেকে তারা শনিবার সোনাগাজীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন।

তারা হলেন- মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের তাংবাজার থানা এলাকার বইচি ধাং মরু ইউনিয়নের বাসিন্দা জাফর আহাম্মদ (৬৫), আম্বিয়া খাতুন (৫০), মৌলভী মো. সফি (৩৫), ছেনুয়ারা খাতুন (২৫), আজিজুল হক (৩২), খতিজা বেগম (২১), লাকি (৯), মো. আলম (৭), মো. রফিক (৬), মো. ওমর (৩), মো. হাসান (৫মাস), নুর হাসিনা (৩), আছিয়া (১)।

চর দরবেশ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, ১৩ রোহিঙ্গা প্রশাসনের নজরদারিতে রয়েছে। আমরাও খোঁজখবর রাখছি। তারা এখন চর সাহাভিকারী গ্রামের আবদুর রশিদের হেফাজতে তার বাড়িতে অবস্থান করছে।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান জানান, চর দরবেশ ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ স্থানীয় ব্যক্তিরা চর সাহাভিকারী গ্রামে বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গা অবস্থানের বিষয়ে তাকে জানানোর পর তিনি সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. হুমায়ুন কবিরকে সত্যতা যাচাই করতে বলেন। পরে রাতেই পুলিশ গিয়ে তাদের শনাক্ত করে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ঢাকাটাইমসকে জানান, চর সাহাভিকারী গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে শিউলি আক্তারের সাথে চট্টগ্রামের একটি গামের্›েটসে চাকরি করার সময় ২০১২ সালে মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের তাংবাজার থানা এলাকার বইচি ধাং মরু ইউনিয়নের বাসিন্দা জাফর আহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। সে সময় থেকে তাদের উভয়ের পরিবার দু’দেশে আসা-যাওয়া করত। আত্মীয়তার সুবাদে জাফর আহাম্মদ তার পরিবারের ১২ সদস্য নিয়ে গত শনিবার আনোয়ান ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তারের সাথে তারা মাতব্বর বাড়ির আবদুর রশিদের ঘরে এসে আশ্রয় নেন।

তিনি আরো জানান, সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদেরকে নিবন্ধনের জন্য টেকনাফের শরনার্থী শিবিরে পাঠানোর কথা। এ জন্য থানা থেকে শনাক্তকৃত রোহিঙ্গাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে পরবর্তী নিদের্শনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিদের্শনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১২সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :