বাংলাদেশ-ভারতের পাঁচ রুটে বাসের টেন্ডারে বাধা কাটল
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বাস চলাচলের পাঁচটি রুটে দুই বছরের জন্য বাস অপারেটর নিয়োগ দেয়ার টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে হাইকোর্ট। এর ফলে এই পাঁচ রুটে অপারেটর নিয়োগে টেন্ডার কার্যক্রম চালাতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
এ বিষয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।
রুটগুলো হচ্ছে- ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা ও ঢাকা-সিলেট-শিলং-গুয়াহাটি।
আদালতে বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
গত ২৩ নভেম্বর টেন্ডার কার্যক্রমে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে রুল ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এই পাঁচ রুটে বাস অপারেটর নিয়োগের জন্য গত ৪ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্যকে আরো উস্কে দেবে-এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে গত ১৩ জুলাই যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন। ওই রিটের প্রথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাস অপারেটর নিয়োগে দেয়ার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। একইসঙ্গে টেন্ডার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
(ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/এমএবি/জেবি)