বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি
কাল ঢাবি শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে অশোভন ও কটূক্তিমূলক বক্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে বুধবার মানববন্ধন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। বেলা ১১টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত হবে মানববন্ধনটি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবায়েতুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ নিয়ে অশোভন ও কটূক্তিমূলক বক্তব্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টার প্রতিবাদে গত ২২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বুধবার অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে কোটা আন্দোলনকারী ও তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশকারী শিক্ষকদের ওপর সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কবার হামলার ঘটনা ঘটে। এর প্রতিবাদে ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দাবিতে গত ১৯ জুলাই সমাবেশ করেন কিছু শিক্ষক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই সভার কথা উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আকমল হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন? তাঁর পিতা তিনি কি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন?’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক সমিতির নেতারা বলেন, ‘আমরা বিস্মিত হই এই ভেবে যে, এই ধরনের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য সত্ত্বেও উক্ত সমাবেশের আয়োজকরা তার বক্তব্যের কোনো প্রতিবাদ করেননি বরং বাহবা দিয়েছেন। ঘটনা পরম্পরায় প্রতীয়মান হয় যে, আকমল হোসেনের এই বক্তব্য তার একক বক্তব্য নয়, এটি সেই অতি প্রতিক্রিয়াশীলদের অপভাবনার বহিঃপ্রকাশ; যারা মহান মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বারংবার বিতর্ক তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে আঘাত করে তারা শুধু মুক্তিযুদ্ধের উপরে নয় বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত করেছেন।’
এ ধরনের বক্তব্য ইতিহাস বিকৃতির অপপ্রয়াস, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী, সংবিধানবিরোধী সর্বোপরি রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল বলে মনে করে ঢাবি শিক্ষক সমিতি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এসব মিথ্যা দুরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি চক্র কোটা আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিশীল করার হীন ও গভীর চক্রান্ত লিপ্ত রয়েছেন।’
‘তরুণ বুদ্ধিদীপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেগ ব্যবহার করে মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির জনক এবং প্রধানমন্ত্রীকে হেয় করার এ অশুভ ও অরাজনৈতিক প্রয়াসের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। একই সাথে তার এই বক্তব্য অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারপূর্বক জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার দাবি জানাচ্ছি।’ অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ার করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/২৪ জুলাই/এএ/মোআ)