জামিনের পর নয় শিক্ষার্থীর কারামুক্তি
নিরাপদ সড়কের দাবিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শেষে রাস্তা আটকে বিক্ষোভের চেষ্টার সময় সংঘাত, ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার মামলায় গ্রেপ্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের মধ্যে নয়জন কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন।
রবিবার দুপুরের দিকে জামিন পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নয় শিক্ষার্থী বেরিয়ে আসেন। সোমবার আরও ১৩ জনের মুক্তি পাওয়ার কথা আছে।
গত ৩০ জুলাই থেকে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামা স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ৪ আগস্টের পর আর মাঠে নামেনি। কিন্তু পরদিন থেকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা নামার চেষ্টা করে। আর ৬ আগস্ট রামপুরা এবং বসুন্ধরা এলাকায় তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
সেদিন আটক হয় মোট ২২ জন। এদের সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে দুই দিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে একবার জামিন আবেদন নাচক হলেও বন্দী জীবনের ত্রয়োদশ দিনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। তারা বলেন, এসব ছাত্রের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। সন্দেহজনকভাবে তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো এবং মহানগর হাকিম একেএম মঈনউদ্দিন সিদ্দিকীসহ কয়েক জন হাকিম ৪০ জনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড্ডা থানার ১২ জন, ধানমন্ডি থানার নয় জন ভাটারা থানার ছয় জন, কোতয়ালি ও রমনা, উত্তরা পশ্চিম ও নিউমার্কেট থানায় তিন জন করে এবং পল্টন থানার মামলায় একজনকে বন্দি করা হয়।
আসামিরা মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট, নর্থ সাউথ, সাউথইস্ট ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রয়েছেন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় সংঘাত, ভাঙচুর, উসকানি ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫১টি মামলায় ৯৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে ৫২ জন শিক্ষার্থী।
ঢাকাটাইমস/১৯আগস্ট/ইএস/ডব্লিউবি