চীনে আঘাত হানতে যাচ্ছে টাইফুন মাংখু
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চল ও হংকং-এ আঘাত হানার পর টাইফুন মাংখু এখন দক্ষিণ চীন উপকূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
রবিবার বিবিসি অনলাইন জানায়, চীনের ব্যাপক জনবহুল প্রদেশ গোয়াংদং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। হংকং-এ টাইফুন আঘাত হানার পর শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ভূমিধসের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
টাইফুন মাংখুতের আঘাতে ফিলিপাইনে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ জন মানুষ মারা গেছে। তবে বন্ধ রাস্তা ও অচল যোগাযোগব্যবস্থার কারণে গ্রামাঞ্চলে ঝড়ের প্রকৃত আঘাতের চিত্র এখনো স্পষ্ট নয়।
স্থলভাগে আঘাত হানার সময়ে ঝড়টি এর কিছু শক্তি হারায়। তবুও এটিকে ২০১৮ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় বলা হচ্ছে।
চীন কি প্রস্তুত?
হংকং কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। বাসিন্দাদের ঘরে থাকতে বলা হয়েছে এবং উড়ে আসা ধ্বংসস্তূপ থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য সতর্ক করা হয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১১৭ কিলোমিটার ছিল। কিছু অ্যাপার্টমেন্টের জানালা খুলে পড়েছে।
অধিকাংশ দোকানপাট ও জনসেবা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আট শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে এক লাখ যাত্রী বিপাকে পড়েছেন।
তবুও অনেকে সরকারি সতর্কতা সবাই মেনে চলছে না। হংকং-এর বাসিন্দা হাও চেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি আজ সকালে দৌঁড়াতে বের হয়েছিলাম। আমার তাজা বাতাস পছন্দ। রাস্তায় লোকজন, গাড়ির ভিড় কিছুই ছিল না। অন্য সাধারণ দিনগুলোতে আমরা এ রকম পরিস্থিতি দেখতে পাই না।’
পার্শ্ববর্তী ম্যাকাও শহরে এই প্রথম বারের মতো তাদের বিখ্যাত ক্যাসিনোগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হাজার হাজার বাসিন্দাদের গোয়াংদং থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রবিবার শেষ রাতে টাইফুন মাংখু আঘাত হানতে পারে।
চলতি বছর এটি ২২তম ঘূর্ণিঝড়। তবে চীনের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, টাইফুন মাংখু এখনো অনেক শক্তিশালী এবং ভূমিতে আঘাত হানতে পারে।
(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/এসআই)