তামিম হয়ে উঠলেন লিটন, দুর্দান্ত সেঞ্চুরি

দেলোয়ার হোসেন, দুবাই থেকে
| আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০২:০৬ | প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৯:৩২

তামিম নেই, টেরই পাওয়া গেল না। ফাইনালে লিটন কুমার দাস হয়ে গেলেন তামিম ইকবাল। তামিমের মতো ভয়ডরহীন ব্যাটিং। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে তুলে নেন দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৮৭ বলে। ওয়ানডেতে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।

প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামা মিরাজরে সঙ্গে জুটিটাও দারুণ জমে ওঠে তার। দুজনের ১২০ রানের পার্টনারশিপ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটির যেটা নতুন রেকর্ড।

২০১৫ সালে ঢাকাতে ভারতের বিপক্ষে তামিম-সৌম্য করেছিলেন ১০২। তিন বছর পর সেই ভারতের বিপক্ষে ১২০ রানের জুটি গড়ে নতুন রেকর্ড গড়েন লিটন ও মিরাজ। ৫৯ বলে ৩২ রান করে কেদার যাদবের বলে ফিরেন মিরাজ। তবে সৌম্যর জায়গায় মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে যে বজিটা রেখেছিলেন, তাতে সফল অধিনায়ক মাশরাফি। ২০১৬ সালের পর এই প্রথম ওপেনিংয়ে শতরানের জুটি পেয়েছে বাংলাদেশ।

ফাইনালের একাদশে চমক থাকতে পারে, ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল মাশরাফির কথায়। কিন্তু মিরাজকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে সেই সারপ্রাইজটা দিয়ে বসবেন, কেউ ভাবেননি। এ যে এক দু:সাহসিক সিদ্ধান্ত।

১৬টি ওয়ানডে খেলেছেন। কিন্তু কখননওই পাঁচের উপরে ব্যাট করতে নামেননি। ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে সেই মিরাজকে কিনা নামিয়ে দেওয়া হয় ওপেনিংয়ে!

সৌম্য সরকারের বাজে ফর্ম ও আস্থার চরম অভাবের কারণেই আসলে এমন উল্টা পাল্টা সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। টানা রান খরায় সৌম্য। আগের ম্যাচে ওপেন করতে নেমে ০তে আউট হন সৌম্য। তাকে ওপেনিংয়ে নামিয়ে ফের দলের বিপদ বাড়ানোর ঝুকি না নিয়ে আরেকটা ঝুকি নেন মাশরাফি।

সেই বাজিতে পুরোপুরি সফল বাংলাদেশ অধিনায়ক। প্রতিপক্ষ ভারত, ম্যাচটা ফাইনাল। প্রথমবার ওপেনিংয়ে। মিরাজের সামনে বিরাট চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জ ছিল মাশরাফির জন্যও। তবে সেই দু:সাহসিক সিদ্ধান্তে জয়ী মাশরাফি।

এশিয়া কাপের প্রতিটা ম্যাচেই প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ওপেনাররা। ফাইনালের আগে লিটন মাত্র এক ম্যাচে রান করেছেন। ফাইনালের আগে চার ম্যাচে লিটননের ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ০, ৬, ৭, ৪১, ৬।

তবে লিটনের যে সামার্থ আছে, সেটা মাঝে মধ্যে দেখিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমেরিকাতে শেষ টি-টোয়েন্টি ৩২ বলে ৬১ করে দলকে জেতানো। তার আগেও ২০ ওভার ম্যাচে কয়েকটি ঝড়ো ইনিংস ছিল তার।টেস্টে ৭০ ও ৯৪ রানের দুটি ভালো ইনিংস আছে তার।

কিন্তু ১৮ ওয়ানডেতে একটিও হাফ সেঞ্চুরি না থাকাটা লিটনের জন্য ছিল বিব্রতকর। ৩৪, ৩৬ এবং ৪১ পর্যন্ত গেলে এগুলোকে হাফ সেঞ্চুরিতে পরিণিত করতে পারেননি । ভালো খেলার মধ্যেই কেন যেন হুট করে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু লিটনের প্রতিভা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না কারো। অবশেষে সেই প্রতিভার প্রমাণ দিলেন লিটন এবং তা ফাইনালের মতো বড় ম্যাচে।শিরোপা যুদ্ধের ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে হাঁকালেন সেঞ্চুরি ।

(ঢাকাটাইমস/২৮সেপ্টেম্বর/ডিএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

খেলাধুলা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

খেলাধুলা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :