৮৮ বছরের হাতিটি আর নেই
ভারতের একটি হাতি ৮৮ বছর বয়সে মারা গেছে। ‘ডাকশায়ানি’ নামে হাতিটিকে গৃহপালিত সবচেয়ে বয়স্ক হাতি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাতিটিকে গাজা মুথাসি বা এলিফ্যান্ট গ্র্যানি উপাধি দেওয়া হয়েছিল। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশ কেরালার চেঙ্গালর মহাদেব মন্দিরে পূজা অর্চনার কাজে ব্যবহার করা হত ডাকশায়ানিকে।
হাতিটির চিকিৎসক জানান, গত মঙ্গলবার থেকে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয় হাতিটি।
কয়েক বছর আগে হাতিটির হাঁটতে সমস্যা হয়। এরপর থেকে হাতিটিকে আনারস ও গাজর খাওয়ানো হতো। গত কয়েক বছর ধরে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি হাতিটি।
মন্দির পরিচালনা সংস্থা ত্রাভানকোর দেভাসওম বোর্ড জানায়, ৮৮ বছর বয়সী এই হাতিটি গৃহপালিত সবচেয়ে বয়স্ক হাতি।
তবে গিনেস বুক অব রেকর্ডসে স্থান করে নেওয়া সবচেয়ে বয়স্ক গৃহপালিত হাতিটির নাম লিন ওয়াং। ২০০৩ সালে তাইওয়ানের একটি চিড়িয়াখানায় ৮৬ বছর বয়সে হাতিটি মারা যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনাদের সহায়তায় কাজ করেছিল ওই হাতিটি।
২০১৭ সালে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে আরেকটি বয়স্ক হাতির মৃত্যু হয়। হাতিটির বয়স ’৮৫ থেকে ৯০’ বলে তখন খবরে বলা হয়েছিল। ভারতে গৃহবন্দি হাতির সংখ্যা ২৪০০টির বেশি।
ত্রাভানকোর দেভাসম বোর্ডের সাবেক সভাপতি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ডাকশিয়ানির চিকিৎসায় কোনো কমতি ছিল না।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবভিত্তিক নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা হাতিটিকে বনে ছাড়তে পারিনি। তবে ঘোরাঘুরির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা সে পেয়েছিল।’
তবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবিদরা বলছেন, অধিকাংশ হাতি শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা অ্যাকশন ফর এলিফ্যান্ট জানায়, ভারতের বিভিন্ন মন্দিরে বিশেষ করে কেরালায় ৮০০ হাতি বন্দি রয়েছে। এগুলোর থাকার ব্যবস্থা খুব শোচনীয়।
(ঢাকাটাইমস/৭ফেব্রুয়ারি/এসআই)