ডাকসুর ভোটকেন্দ্র প্রশ্নে গণভোটের দাবি

ঢাবি প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৭
অ- অ+

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হলের অভ্যন্তরে না একাডেমিক ভবনে করা হবে সে বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি তৈরি হয়েছে। এই সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে গণভোট আয়োজনের পরামর্শ দিয়েছে ডাকসুর দাবিতে আন্দোলন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্র্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’।

শুক্রবার দুপুরে বিশ^বিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এই পরামর্শ দেন সংগঠনটির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের মুখপাত্র মওদুদ মিষ্ট। বক্তব্য দেন ডাকসুর রিটের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, মঞ্চের অন্য দুই মুখপাত্র নূর বাহাদুর ও তোয়াহা ফারুক। উপস্থিত ছিলেন আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সৌমিত্র দাস শুভ্র, সাদমান সাকিব, মাসুদুর রহমান, ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে সাত বছর আগে ২০১২ সালে শিক্ষার্থী থাকাকালে ‘ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চ’ আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তারা। দাবি আদায়ে সে সময় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি, মানববন্ধন, গণস্বাক্ষর, সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে সংগঠনটি। সর্বশেষ ২০১২ সালের মার্চে মঞ্চের ২৫ জন সদস্য হাইকোর্টে রিট করেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় প্রায় তিন দশক পরে আগামী ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন।

মওদুদ মিষ্ট বলেন, ‘উপাচার্যের কখনোই ডাকসুর সভাপতির পদে থাকা উচিত নয়। শিক্ষার্থীদের একটা সংগঠনের সভাপতি কীভাবে উপাচার্য হন? আপনারা জানেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী উপাচার্য চাইলেই ডাকসু নির্বাচন দিতে পারেন, আবার নাও দিতে পারেন। এটি মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিবন্ধক, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার যে প্রক্রিয়া তাতে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিরাই উপাচার্য হন। তারা ক্ষমতাচর্চায় শুধু একপেশে সিদ্ধান্তগুলো শিক্ষার্থীদের ওপর চাপিয়ে দেন। শিক্ষার্থীদের এটা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।’

তিনি বলেন, ‘ডাকসুর প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হন শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভোটে। নির্বাচিত হওয়ার পর তারা শিক্ষার্থীদের কাছে জবাবদিহিতে বাধ্য থাকেন না। গঠনতান্ত্রিকভাবে তো না-ই। ডাকসু প্রতিনিধিদের ‘রি-কল’ করার কোনো নিয়মই গঠনতন্ত্রে নেই।’

ডাকসু নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর করতে শিক্ষার্থীদের গঠনতন্ত্র ‘পাঠ-পর্যালোচনার’ আহ্বানও জানান তিনি।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮ বছর ধরে ডাকসু নির্বাচন হয়নি। কারণ উপাচার্যরা তাদের ক্ষমতা ধরে রাখতে চেয়েছেন। শুধু উপাচার্য চাইলেই ডাকসু নির্বাচন হবে না, এটা হওয়া ঠিক নয়। এ জন্য ছাত্রদেরও দায়িত্ব রয়েছে। আদালতে এমনও কথা উঠেছিল যে, নির্বাচন হলে ক্যাম্পাসে রক্তের বন্যা বয়ে যাবে। তখন আমরা বলেছি, সংঘাত তো অনেক নির্বাচনেই হয়, তাই বলে কি নির্বাচন হয় না?’

(ঢাকাটাইমস/১৫ফেব্রুয়ারি/প্রতিবেদক/এআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে ট্রল, দিনাজপুরের এএসপি প্রত্যাহার
‘গোপালগঞ্জে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি’
“চাঁদাবাজ যতই প্রভাবশালী হোক, পার পাবে না”
গোপালগঞ্জে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা