নতুন ঠিকানায় কলাবাগান থানা

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানা স্থান পরিবর্তন করেছে। মঙ্গলবার থেকে নতুন ঠিকনায় অস্থায়ীভাবে তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে অস্থায়ী ভবনে কলাবাগান থানার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
ধানমন্ডির ভূতের গলি কমিউনিটি সেন্টার থেকে কলাবাগান থানা স্থানান্তরিত হয়ে বর্তমানে পান্থপথের হোটেল সুন্দরবনের পেছনে নেওয়া হয়েছে। আবদুল মোমেন গ্রুপের সাত তলা বিশিষ্ট ভাড়া করা ভবনে কলাবাগান থানা অস্থায়ীভাবে তার কার্যক্রম চালাবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার সুবিধার্থে ২০০৯ সালে ধানমন্ডি থানা ভেঙে কলাবাগান থানা করা হয়। শুরু থেকে থানার নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় জরাজীর্ণ সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি সেন্টার থেকে চালানো হয় থানার কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ব্যবহারের পরে কমিউনিটি সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। নিজস্ব থানা ভবন না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে উল্লিখিত জায়গায় কলাবাগান থানা জনসাধারণকে সবধরনের আইনি সেবা দেবে।
অস্থায়ীভাবে থানা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে কলাবাগান থানা ভবনটি ছিল জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। অপরাধ দমন ও ভালো নাগরিক সেবা দেয়ার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য নিজস্ব থানা ভবন জরুরি। পুলিশের সেবা সবাই চাই, কিন্তু পুলিশের অবকাঠামো ও জায়গা কেউ দিতে চাই না।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘থানার সেবার মান অনেক বাড়ানো হয়েছে। থানায় কেউ সেবা নিতে এলে কোনো রকম হয়রানি ছাড়া সর্বোচ্চ আইনি সেবাটি দিতে সবাইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। থানায় মানুষ এসে যেন বুঝতে পারে সে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে এসেছে। বিপদগ্রস্ত নাগরিককে থানা থেকে সর্বোচ্চ আইনি সেবা দিতে হবে।’
ডিএমপি প্রধান বলেন, ‘মাদকের ভায়াবহতা থেকে আমরা কেউ নিরাপদ নয়। আমাদের দেশ, সমাজ ও সন্তানদের বাঁচাতে হলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। মাদক কারবারি যেই হোক ঢাকা মহানগরীতে তার ঠাঁই হবে না।’ তিনি কলাবাগান থানার জন্য অস্থায়ীভাবে একটি ভবন দেয়ায় আবদুল মোমেন গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) শাহাব উদ্দিন কোরেশী, উপ-পুলিশ কমিশনার (রমনা বিভাগ) মারুফ হোসেন সরদার ও কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
(ঢাকাটাইমস/০২এপ্রিল/এএ/জেবি)

মন্তব্য করুন