বিয়াল্লিশ হাজার ইয়াবার মামলায় আসামির জামিন
সাড়ে বিয়াল্লিশ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় গুলশান থানার একটি মামলায় আবুল বাশার নামে এক আসামি জামিন পেয়েছেন।
বুুধবার ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম চমন চৌধুরী এ আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন।
বিচারক আদেশে, জব্দ করার স্থান, আসামির ঠিকানার গড়মিল থাকায় এবং সামনে ঈদ-উল-ফিতর বিবেচনায় জামিন মঞ্জুর করেছেন।
জামিনপ্রাপ্ত আসামি বাশার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা থানার বারেক গ্রামের চারু মিয়ার ছেলে।
সরকার যখন মাদক নির্মূলে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এ সময় এই বড় ধরনের মাদকের মামলার প্রধান আসামির জামিন নিয়ে নাখোশ রাষ্ট্রপক্ষ। জামিন আদেশের পর এদিন রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিন স্থগিতের জন্য বেলা আড়াইটার দিকে আদালতে আবেদন করেন। তবে ততক্ষণে বিচারক আদালত থেকে চলে যাওয়ায় কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ সম্পর্কে ওই ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আনোয়ার শাহাদাত শাওন বলেন, রাষ্ট্র যখন মাদক নির্মূল করতে যুদ্ধ ঘোষণা কয়েছে এ সময় এ ধরনের মামলায় জামিনে আমরা হতাশ। যেখানে হাইকোর্টে ৫ হাজার পিস ইয়াবার মামলায় ৫ বছরে জামিন হয় নাই। সেখানে আড়াই বছরে এ আদালত কেন জামিন দিলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা হাইকোর্টে জামিন বাতিলের আবেদন করব। আদেশ চেয়ে আবেদনও করেছি।
তিনি আরও বলেন, মামলাটিতে এখনো কারো সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। এমতাবস্থায় আসামি জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন। আদালত থেকে সাক্ষীদের প্রতি সমন জারির আদেশ থাকলেও তা জারি হয় না। সমন জারির ক্ষেত্রে কারসাজি করা হয়। তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এর আগে ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় খিলক্ষেত থানার একটি মামলায় মো. উজ্জল ওরফে ফারুক ওরফে উত্তম সাহা নামে এক আসামি জামিন পেয়েছেন।
এ সম্পর্কে প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, আমি জানার পরই জামিন স্থগিতের জন্য আবেদন জমা দিয়েছি। কিন্তু বিচারক চলে যাওয়ায় কোন আদেশ হয়নি। তবে তারা জামিন বাতিলের জন্য হাইকোর্টে যাবেন।
মামলার ঘটনায় জানা যায়, ২০১৭ সালের ৪ মার্চ গুলশান থানাধীন শাহজাহানপুরস্থ একটি বাড়ি থেকে আসামির বাসার ওয়্যারড্রপের ভেতর থেকে ৪২ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। পরে তার গাড়ি থেকে আরো ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। যার সর্বমোট ওজন সোয়া চার কেজি।
ওই ঘটনায় গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ফেরদৌস আলম সরদার আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে আবুল বাশারের সঙ্গে হারুন, বাদশা ও জাকিরকে আসামি করা হয়। হারুন, বাদশা ও জাকিরের কাছ থেকে মাদক উদ্ধার না থাকায় তারা আগেই জামিন পেয়েছেন।
একই জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনাল গত ৩ জুন ৫০ হাজার পিস ইয়াবার উদ্ধারের খিলক্ষেত থানার একটি মামলার প্রধান আসামি মো. উজ্জল ওরফে ফারুক ওরফে উত্তম সাহার জামিন মঞ্জুর করেছেন। একই আসামির ২০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারে মিরপুর থানার আরেক মামলায় ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও বিশেষ দায়রা জজ মনির কামাল গত ৭ জুলাই জামিন মঞ্জুর করেন। পরে ওই আসামি কারামুক্ত হন। আসামি উজ¦লের বিরুদ্ধে নিউমার্কেট থানার ১০(৩)১০, ১১(৮)১৩, ৮(২)১৩, চকবাজার থানার ১৮(৭)১২ এবং মিরপুর থানার ৩৮(৭)১০ নম্বর মামলা থাকার কথা চার্জশিটে বলা আছে।
ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/ইএস