রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের দিনক্ষণ জানালেন না পররাষ্ট্র সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১৮:২৭
অ- অ+
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়র্টাসে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন এ মাসেই শুরুর খবর এলেও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণ জানালে না। তবে তিনি বলছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের অগ্রগতি হবে।

রবিবার রাজধানীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে 'রোহিঙ্গা সংকট: উত্তরণের উপায়' শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য রাখছিলেন সচিব। বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন একটি চলমান প্রক্রিয়া।আমরা মনে করি, রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাবে। সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলমান আছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর অগ্রগতি হবে।’

আশির দশক থেকেই প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শুরু করেছে। তবে সবচেয়ে বড় ঢল নামে ২০১৭ সালের আগস্টে। এখন সব মিলিয়ে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে।

এদেরকে ফিরিয়ে নিতে একাধিকবার দিন তারিখ ঠিক হলেও মিয়ানমারের টালবাহানা আর রোহিঙ্গারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পাওয়ায় প্রত্যাবাসন পিছিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়টার্স সম্প্রতি জানিয়েছে, সাড়ে তিন হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই ফিরিয়ে নেবে মিয়ানমার।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট থোয়ে গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ৩ হাজার ৫৪০ জনকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে একমত হয়েছি। ২২ আগস্ট তাদের ফেরত নেওয়া হবে।’

তবে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলছেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর জন্য আমরা তাদেরকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করব। তাদের কল্যাণেই এটা করা হবে। আশা করছি, যে কোনো দিন থেকে এ প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে।’ কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ৮ আগস্ট প্রায় সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে (ইউএনএইচসিআর) দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে কক্সবাজারের উখিয়ার শিবিরে দুই দফা বৈঠকেও রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত আলোচনা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়ে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ছেড়ে যায়।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারা দুই দেশ মূলত চীনের কারণেই প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এর আগে ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসনের তারিখ ঘোষণা করেছিল দুই দেশ। ওই বছরের অক্টোবরে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে তারিখ চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু রোহিঙ্গারা যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিত প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকিতে হামলার জেরে সেখানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮ আগস্ট/এনআই/ডব্লিউবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সখীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধার মৃত্যু 
ভোটার হতে আবেদন করেছেন ৪৭৭১৩ প্রবাসী: এনআইডি ডিজি
মিটফোর্ড হত্যা: আসামিপক্ষে দাঁড়াবে না জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে শান্ত রেখেছি: রাকিব
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা