তৃতীয় বিয়ের ১২ দিনের মাথায় গলাকেটে হত্যা

বগুড়া প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৩৮

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়ার পর হাসপাতালের কর্মচারী শাহিন হোসেনের সাথে পরিচয় হয় বিধবা নূরজাহান বেগমের। এরপর প্রণয়। দিন যত গড়িয়ে যায় তাদের মধ্যে ভালবাসা আরও বাড়তে থাকে। এক সময় তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। গত ২২ আগস্ট নিজেরাই বিয়ে করেন।

নূরজাহানের এটি তৃতীয় বিয়ে এবং শাহিনের দ্বিতীয়। প্রথম স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হলে নূরজাহান দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘরে তার একটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। বেশ ক’বছর আগে নূরজাহানের দ্বিতীয় স্বামী মারা যান। এরপর নূরজাহান একাই ছিলেন। বিয়ের পর ক’দিন তাদের ভালই চলছিল। কিন্তু এর মধ্যেই হঠাৎ কি ঘটলো দুই প্রেমিক যুগলের মাঝে? যার কারণে বিয়ের মাত্র ১২ দিনের মাথায় প্রেমিক থেকে স্বামী হওয়া শাহিন হোসেন তার প্রিয়তমা স্ত্রী নূরজাহানের গলা কেটে রক্তে হাত রাঙালো? এর সঠিক উত্তর এখনও জানা যায়নি। নূরজাহান বেগম এখন কাফনের কাপড়ে কবরে চির নিদ্রায় আর শাহিন স্ত্রীকে হত্যার দায়ে বগুড়ার পুলিশী হেফাজতে।

জানা গেছে, বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় হিসেবে কাজ করতেন শাহিন হোসেন (৩২)। তার বাড়ি বগুড়া সদরের কদিমপাড়া গ্রামে। বাবার নাম দৌলতজ্জামান। নিহত নূরজাহান (৪৩) বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার দাইমুল্যা গ্রামের মৃত সাবাশ সাকিদারের মেয়ে।

বিয়ের পর বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাকপালা দীঘির পাড় এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন তারা। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর কোন এক সময় শাহিন তার স্ত্রী নূরজাহানকে গলা কেটে হত্যা করে ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর রাত ১০টার পর স্থানীয়দের দেওয়া খবরে পুলিশ গিয়ে নূরজাহানের গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে।

পরে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শাহিনকে সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ গলা কাটার কাজে ব্যবহৃত চাকু এবং একটি কোমল পানীয়র বোতল ও ইনজেকশন উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় নিহত নূরজাহানের মা আছুবা বেওয়া বাদী হয়ে শাহীনের নামে শাজাহানপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শরীফুল ইসলাম ঢাকা টাইমসকে জানান, গ্রেপ্তারের পর শাহিন হোসেনের কাছে তথ্য পাওয়া গেছে, ২২ আগস্ট নুরজাহানকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় ওঠেন তিনি। কিন্তু সেই রাত থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। নূরজাহান ঠিকমত তার যত্ন নিতেন না এবং মোবাইলে অন্য কারো সাথে কথা বলতেন। এ কারণে শাহিন স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। মঙ্গলবার দুপুরের পর শাহিন কোমল পানীয়র সঙ্গে স্ত্রীকে ১০টি ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ান। স্ত্রী অচেতন হলে আবারো তিনটি চেতনানাশক ইনজেকশন পুশ করেন। এরপর সন্ধ্যায় স্ত্রীর দুই হাত গামছা দিয়ে বেঁধে চাকু দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। পরে পালিয়ে যান।

ঢাকাটাইমস/০৪সেপ্টেম্বর/ ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :