আবার ভাঙন
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে পরপর দুই বলে দুইটি উইকেট পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের। দলীয় রান তখন ১২। এরপর নাঈম শেখের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ মিথুন। বড় শট না খেললেও তিনি নাঈমকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেছেন। দুজনে মিলে গড়েছেন ৯৮ রানের পার্টনারশিপ।
দলীয় ১১০ রানে দীপক চাহারের বলে লোকেশ রাহুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন মিথুন। ২৯ বল খেলে ২৭ রান করেছেন। মিথুন আউট হয়েছিলেন ১৩তম ওভারের শেষ বলে। আর ১৪তম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়েছেন মুশফিক। এক বল খেলে মুশফিক রানের খাতা খুলতে পারেননি।
দলীয় ১২৬ রানে দুবের বলে বোল্ড হন নাঈম শেখ। ৩৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ৪৮ বলে ৮১ রান করেন তিনি। তার ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও দুইটি ছক্কার মার।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত খেলছেন নাঈম শেখ। তরুণ এই ওপেনার ৩৪ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করে অপরাজিত আছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার প্রথম অর্ধশত।
তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের দেয়া ১৭৫ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত টাইগারদের সংগ্রহ ১৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১২৬ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে ফিরে গেছেন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। দীপক চাহারের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ হন লিটন। পরের বলে মিড-অফে দুবের হাতে ক্যাচ হন সৌম্য। ৮ বলে ৯ রান করেছেন ওপেনার লিটন। ওয়ানডাউনে নেমে প্রথম বলেই ফিরে গেছেন সৌম্য।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৪ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। বিপ্লব ক্যাচ মিস করায় ব্যক্তিগত শূন্য রানে জীবন পেয়েছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। সেই ব্যাটসম্যান ৩৩ বলে তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সাহায্যে করেছেন ৬২ রান। ৩৫ বলে ৫২ রান করেছেন লোকেশ রাহুল।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে শফিউল ইসলাম ২টি, সৌম্য সরকার ২টি ও আল-আমিন হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে জিতেছিল ভারত। সুতরাং, আজকের ম্যাচে যারা জিতবে তারাই সিরিজ জিতে নিবে। এর আগের দুই ম্যাচে যারা পরে ব্যাট করেছে তারাই জিতেছে।
(ঢাকাটাইমস/১০ নভেম্বর/এসইউএল)