মিরপুরে দুই নারী খুন ‘অনৈতিক’ কাজের টাকার ভাগ নিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২১:১৮ | প্রকাশিত : ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:৪৭

অনৈতিক কাজের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে মিরপুরে জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পশ্চিম) বিভাগের একটি দল। তারা হলেন- মো. ইউসুফ ও রমজান আলী। বুধবার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে ময়না তদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। চিকিৎসকের ভাষ্য, তাদেরকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার রাতে মিরপুর ২ নম্বর সেকশনের ‘এ’ ব্লকের ২ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে রহিমা বেগম ও তার গৃহকর্মী সুমি আক্তারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় নিহতের রহিমার মেয়ে রাশিদা বেগম বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছেন মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আখতার হোসেন।

এ ঘটনার পরপরই পুলিশ জ্ঞিাসাবাদের জন্য নিহত রহিমার পালিত পুত্র সোহেলকে আটক করে। সোহেলই রাশিদাকে তার মা খুন হওয়ার বিষয়টি ফোনে জানায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আবদুল কুদ্দুস নামে নিহত রহিমার একজন স্বামী রয়েছে। তবে তার সাথে কোনও সম্পর্ক ছিলো না। পুত্র সোহেল মাঝে-মধ্যে ওই বৃদ্ধার বাসায় এসে থাকতেন।

গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, নিহত রহিমা বেগম যৌনকর্মীদের দালাল হিসেবে কাজ করতেন। মিরপুরে বাসা ভাড়া নিয়ে তিনি এসব অসামাজিক কাজ করতেন। গত মঙ্গলবারই সুমি নামের মেয়েটি তার কাছে প্রথম এসেছিল। নিহত রহিমার বাসায় আসতেন রমজান ও ইউসুফ। তারা রহিমার কাছে টাকা দাবি করেন। ওই টাকা দিতে অস্বীকার করেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে সুমিকে পরে রহিমাকে হত্যা করেন তারা। পরে ইউসুফ ও রমজান একটি সিএনজিতে করে মগবাজারে এক আত্মীয়ের বাসায় যান। সেখানে রাতে থাকার পরে গতকাল তারা সদরঘাট যান। পরিকল্পনা ছিল সদরঘাট থেকে তারা তাদের গ্রামের বাড়ি চলে যাবেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (পল্লবী জোনের) জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার শাহাদৎ হোসেন সুমা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’

এদিকে নিহত রহিমা বেগম ও সুমির ময়না তদন্ত গতকাল বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়। ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক সহরোওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক কেএম মাঈনুদ্দীন সাংবাদিকদের জানান, শ^াসরোধ করেই তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ভিসেরা পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আমরা ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশের কাছে দেব।

ঢাকাটাইমস/০৪ডিসেম্বর/এএ/ইএস/ডিএম

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :