শীতে চাটমোহরে দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ২২:২৫
অ- অ+

ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার চাটমোহরের জনপদ। গত দু’দিন ধরে এ অঞ্চলে দেখা মেলেনি সূর্যের। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের কর্মজীবী মানুষ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়োবৃদ্ধরা। হাসাপাতালে বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। আর গরম কাপড় কিনতে ভিড় বেড়েছে বিপণী বিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে।

জানা গেছে, উপজেলায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বহুগুণ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না। শনিবার এ অঞ্চলের তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে হঠাৎ শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন। বিভিন্ন অলিগলি ও সড়কের পাশে খড়কুটায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন সবাই। সড়কে বাস, ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চালকরা হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছেন। আর জীব জীবিকার প্রয়োজনে ঘন কুয়াশার মধ্যে ব্যাটারিচালিত অটো বোরাক, ভ্যান রিকশার যাত্রী ও চালকরা চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতবস্ত্র বিক্রি। বিশেষ করে শুক্রবার ও শনিবার শহরের বিভিন্ন বিপণী বিতান ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতার্ত মানুষের আনাগোনা ও শীতবস্ত্র বিক্রি ছিল চোখে পড়ার মতো। এছাড়া শীতবস্ত্র বিক্রি করতে বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের দেখা যায়।

অন্যদিকে কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় মাঠজুড়ে এখন শুধুই কৃষকদের আনাগোনা। কৃষিকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। কিন্তু তীব্র শীতে জমিতে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।

তবে আবহাওয়া অফিস বলছে, রবিবার থেকে কমবে শীতের তীব্রতা। তবে দুপুর পর্যন্ত রোদের দেখা পাওয়া যায়নি চাটমোহরে।

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান, শনিবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে রবিবার থেকে দেখা মিলবে সূর্যের। সেইসঙ্গে শীতের তীব্রতাও কমবে।

চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৈয়দ শামীম এহসান জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া ৬ হাজার ৯২০ পিস কম্বল একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের হাতে পৌঁছানো হয়েছে। তবে বৃহৎ এই উপজেলার জন্য একেবারেই অপ্রতুল। আরো প্রায় ১০ হাজার পিস কম্বল হলে চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা যেত।

(ঢাকাটাইমস/২২ডিসেম্বর/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভের ডাক এনসিপির
রাজনৈতিক কারণে পাঠ্যবইয়ে জায়গা হয়নি শহীদ ওয়াসিমের: নাছির
ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন আটকানো যাবে না, রাজপথেই নির্বাচন আদায় করব: সপু
দেশবাসী প্রস্তুতি নেন, গোপালগঞ্জকে আবুসাইদগঞ্জ বানাতে হবে: রাশেদ প্রধান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা