হাঁপানি থেকে বাঁচতে ই-সিগারেট ছাড়ুন

স্বাস্থ্য প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১২:৫৮| আপডেট : ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:১৮
অ- অ+

বর্তমান সময়ের ছেলেমেয়েরা স্টাইল-ফ্যাশন দেখাতে হরহামেশায় ইলেকট্রিক সিগারেট টানে। এই ইলেকট্রিক সিগারেট বা ই-সিগারেট যে কত ক্ষতিকর তা তারা অনুধাবন করে না। এর মাধ্যমে হাঁপানিসহ শ্বাসযন্ত্রের সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। সিগারেটের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে অনেকেই ই-সিগারেট টানেন।

কিন্তু একটি নতুন গবেষণায় জানা গেছে এতে হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা এবং প্রদাহসহ অসংখ্য শ্বাস প্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধরনের ই-সিগারেটে মাইক্রোবায়াল বিষক্রিয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন গবেষকরা।

গবেষণার জন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৭৫ জনপ্রিয় ই-সিগারেট পণ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। কার্ট্রিজেস (একক ব্যবহার) এবং ই-তরল পদার্থ (রিফিলযোগ্য উপাদান) যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঢালাও বিক্রি হয় সেসব নিয়ে তাঁরা গবেষণা করেন।

এনভায়রনমেন্টাল হেলথ পার্সপেকটিভস পত্রিকায় প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা গেছে যে, এই পণ্যগুলোর ২৭ শতাংশেই এন্ডোটক্সিনের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এই এন্ডোটক্সিন হলো গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াতে পাওয়া একটি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট। এতে ৮১ শতাংশ গ্লুকান পাওয়া গেছে। বেশিরভাগ ছত্রাকের কোষের প্রাচীরগুলোতে এই গ্লুকান পাওয়া যায়।

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড ক্রিশ্চিয়ানি বলেন, “এয়ারবোর্ন গ্রাম-নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়াল এন্ডোটক্সিন এবং ছত্রাকের পাওয়া যাওয়া গ্লুকানগুলো পেশাগত ও পরিবেশগত নানা পরিস্থিতিতে শ্বাসযন্ত্রের ওপর তীব্র এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করে।"

ক্রিশ্চিয়ানি আরও বলেন, “ই-সিগারেট পণ্যগুলোতে এই বিষক্রিয়াগুলো শনাক্ত করার ফলে ব্যবহারকারীদের শ্বাসপ্রশ্বাসে প্রতিকূল প্রভাব সম্পর্কে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দেয়।”

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ৭৫টির মধ্যে ১৭ টি পণ্যেই (২৩ শতাংশ) এন্ডোটক্সিনের সংশ্লেষণ ধরা পড়েছে এবং এই ৭৫টির মধ্যে ৬১টি পণ্যে (৮১ শতাংশ) গ্লুকান সংশ্লেষণ দেখা গেছে।

গবেষণায় দেখা গেছে যে, ফলের স্বাদযুক্ত পণ্যে এন্ডোটক্সিনের পরিমাণ ছিল বেশি। বোঝাই যাচ্ছে যে, এই ধরনের স্বাদ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল মাইক্রোবিয়াল দূষণের উৎস হতে পারে। গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে, পণ্যগুলোর দূষণ উপাদানগুলোর উৎপাদনের সময় বা একটা গোটা ই-সিগারেট তৈরি শেষ হয়ে যাওয়ার সময়েও ঘটতে পারে।

“ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থসমেত শ্বাস নেওয়া ছাড়াও ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের এন্ডোটক্সিন এবং গ্লুকানের মতো জৈব দূষণেও আক্রান্ত হতে পারেন,” বলেন গবেষণার প্রধান লেখক এমআই-সান লি।

ঢাকাটাইমস/৫জানুয়ারি/এসএস

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
পাবনায় বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ: মোটরসাইকেল ও অফিস ভাঙচুর, হাসপাতালে ভর্তি ৫
বিএনপি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়: আমিনুল হক 
অভ্যুত্থানের পর সরকারের কর্তব্য ছিল শিক্ষাখাতের সংস্কারে মনোযোগ দেওয়া: সাকি
৫ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পুশ-ইন করেছে বিএসএফ 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা