দেশে আন্তর্জাতিকসহ একাধিক বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:২২| আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:২৮
অ- অ+
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর বিমানবন্দর আজারবাইজের হেইদার অ্যালিয়েভ বিমানবন্দর। ছবি: আজাল প্রেস সার্ভিস।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই বিমানে যাত্রী চলাচল বহুগুণ বেড়েছে। আয় বৃদ্ধির সাথে এই চাহিদা আরো বড়বে। আর এর জন্য সরকার একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্ধর সহ একাধিক অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে। উন্নত দেশে যেতে আগামী ২০ বছরের পরিকল্পনার নেয়া হয়েছে, যা ‘দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা’য় তুলে ধরেছে সরকার।

মঙ্গলবার এই প্রেক্ষিত পরিকল্পনাটি অনুমোদন হয়। এটি বাস্তবায়ন করা হবে ২০২১ সাল থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে । এটি তৈরি করেছে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এই প্রেক্ষিত অনুমোদন দেয়া হয়। আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে এই বৈঠক হয়।

পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয় বিদ্যমান সকল বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের জন্য অতিরিক্ত রানওয়ে ও ট্যাক্সিওয়ে তৈরি; অধিক সংখ্যক ক্র্যাক্টের স্থান সংকুলানের জন্য গেট ও অ্যাপ্রন সক্ষমতার প্রাসর; অধিক বিমান চালনার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়াসহ গ্রাউন্ড ব্যবস্থাপনা, গুদাম ঘর ওয়ার্কশপ সুবিধা, হ্যাঙ্গার সুবিধা সহ সম্পূরক সুবিধা নিশ্চত করা হবে।

এনইসি সভায় প্রধানমন্ত্রী যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তা সভা শেষে তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম।

প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ তুলে ধরে শামসুল আলম বলেন, ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরকে বড় করে তুলতে হবে। এটা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হবে। কারণ এটা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলের রুটের মধ্যে।’

কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দরের বিষয়ে শামসুল আলম বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপে জীববৈচিত্র্য অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সেজন্য গভীর সমুদ্রবন্দর করলে সেটি বাধাগ্রস্ত হতে পারে; বাস্তুতন্ত্রে, ইকোলজিতে। তাই সেখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। সমুদ্রবন্দর অন্যত্র গড়ে তোলা হবে– এরকম একটা ধারণা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের দিয়েছেন।’

প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় তুলে ধরা হয় বিমানবন্দরে উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ আকর্ষণীয় করা হবে। এর জন্য উপযুক্ত নীতিমালা গ্রহণ করা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রূয়ারি/জেআর/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দাম্পত্য কলহের জেরে যমজ ২ শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যা করেন মা
ইউআইইউ এলাকায় র‍্যাবের অভিযান, বিদেশি পিস্তলসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী মোজাম্মেল গ্রেপ্তার
ভোটের মার্কা থাকছে না শাপলা, ইসির নীতিগত সিদ্ধান্ত
ফের এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা