তাড়াশে ত্রাণ পাননি কুলি শ্রমিকরা

নভেল করোনাভাইরাস ঠেকাতে সাধারণ ছুটি চলছে দেশে। অফিস-ব্যবসা বন্ধ। কুলি শ্রমিকরাও কর্মহীন। উপজেলা প্রশাসনকে ত্রাণ সরবরাহের নির্দেশ দেয়া হলেও সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন তাড়াশ উপজেলা কুলি শ্রমিক ইউনিয়ন।
কুলি শ্রমিক নেতারা জানিয়েছেন, ত্রাণ না পাওয়ায় জীবিকার তাগিদে অনেকেই অভাব-অনটনে দিন পার করছেন।
অপরদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে উপজেলা প্রশাসন সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা করেছে। সাপ্তাহিক হাট ও পশুর হাটও বন্ধ করে দিয়েছে। সংক্রমণ এড়াতে সড়কে যান চলাচলও বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বিপাকে পড়ে যায় উপজেলার নিম্ন আয়ের খেঁটেখাওয়া মানুষ। দিন এনে দিন খায় ওই শ্রেণির মানুষেরা চরম দুর্ভোগে রয়েছে। দিনদিন তাদের দুর্ভোগ ও সংকটের পাল্লা ভারী হচ্ছে। জরুরিভাবে তাদের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছানো না গেলে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, গত ২৯ মার্চ উপজেলায় সেনাবাহিনী টহল শুরু করার পর থেকে পৌর শহরের সকল দোকানপাট বন্ধ থাকার ফলে বাইরে থেকে কোন মালামাল আসছে না এবং শহর থেকে কোন মালামাল বের হচ্ছে না, তাই বাজারে বিভিন্ন কাজ করা শ্রমিকরা বেকার হয়ে পরেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চৈত্র মাসের প্রখর রোদের তাপ উপেক্ষা করে পৌর এলাকার আলেপ মোড়ে, উত্তর ওয়াপদার বাদ, বারোয়ারী বটতলা, হাসপাতাল গেট, গোডাউন মোড়সহ বিভিন্ন জায়গায় তারা কাজের সন্ধানে বসে আছেন, ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছেন।
গত কয়েক দিনেও স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও কিছু ব্যক্তি উদ্যোগে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হলে ও বাজারেরর সেই শ্রমিকরা ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের পরিবারগুলো অর্ধাহারে অনাহারে দিনাপাত করছে।
তাড়াশ পৌর বাজারের কুলি শ্রমিক গোলাম মোস্তফা, কাওছার, রতন, রবিউল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন হলো বাজারের দোকান বন্ধ থাকায় কোন কাজ করতে পারছি না। আমরা প্রতিদিন কাজ করে যে অর্থ পাই, তা দিয়ে চলে আমাদের সংসার। সরকারের কোন সহযোগিতা এখনও পাইনি।
তাড়াশ কুলি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদেক আলী জানান, উপার্জন বন্ধ থাকায় অর্ধশতাধিক শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে অর্ধাহারে-অনাহারে থাকার যন্ত্রণা শ্রমিকদের কাছে করোনা সংক্রমণের ভয়ের চেয়ে বড় হয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় শ্রমিকদের জন্য দ্রুত ত্রান সহায়তা করার জন্য দাবি জানান তিনি।
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহানের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/এলএ)

মন্তব্য করুন