রাজধানীর বাজারে সবজির লাগামহীন দাম, চাপে ক্রেতারা

টানা বৃষ্টি আর মৌসুমের শেষ—দুই কারণে রাজধানীর কাঁচাবাজারে সব ধরনের সবজির দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এর সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে চাহিদা বাড়ায় বাজারে অতিরিক্ত চাপ তৈরি হয়েছে। ফলে সাধারণ ক্রেতারা নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে পড়েছেন বিপাকে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সবজির বাজার যেমন
ডিম-মাংসেও চাপ শুধু সবজি নয়, মাছ, মাংস ও ডিমের দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি হালি ডিম ৪৫–৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে এক ডজন ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ১৩৫–১৫০ টাকা, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ১২০–১৩০ টাকার মধ্যে। ব্রয়লার মুরগির দাম এখন প্রতি কেজি ১৮০–১৯০ টাকা, গত মাসে যা ছিল ১৩০–১৪০ টাকা। লাল মুরগি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৮০–৪০০ টাকায়।
মসলার দাম অপরিবর্তিত, বেড়েছে আদার দাম মসলার বাজারে দাম প্রায় স্থিতিশীল থাকলেও আদার দাম কিছুটা বাড়ছে। চায়না আদা এ সপ্তাহে ১৬০ টাকা থেকে ১৮০–১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদার দাম ১৫০–১৬০ টাকার মধ্যে থাকলেও, কিছু বাজারে ১৬০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ ও গুঁড়া মসলার দাম অপরিবর্তিত।
ডাল, তেল ও চালের বাজার স্থিতিশীল
ডাল, তেল ও চালের বাজারও স্থিতিশীল। দেশি মসুর ১৪৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ১০০ টাকা, দেশি মুগ ১৫০–১৬০ টাকা, খেসারি ডাল ১১০–১১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের মধ্যে মিনিকেট ৭৮–৮০ টাকা, পোলাও চাল ১১৫–১২০ টাকা, আটাশ ও পায়জাম ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া, তেলের বাজারেও বড় পরিবর্তন নেই। সয়াবিন ১২৫–১৮০ টাকা এবং সুপার তেল ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।যা বলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা
বাজারে আসা ক্রেতাদের অভিযোগ—সবজির দাম কয়েক সপ্তাহ ধরে বাড়তি থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। প্রোটিনের সহজলভ্য উৎস ডিমও এখন আর সাশ্রয়ী নেই।
অন্যদিকে, বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টি ও মৌসুমি কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, “এখন কম উৎপাদনের মৌসুম। বৃষ্টিতে অনেক সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কম, দাম তাই বেশি।”
(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন