বাড্ডায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ

রাজধানীর বাড্ডায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল ও জোরপূর্বক নির্মাণকাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে একদল প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সহায়তায় এ দখল কার্যক্রম চলছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মগবাজারের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জমির মালিক মো. রনি খান (৩৭)। এসময় তার চাচাতো ভাই মো. আলমও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে রনি খান জানান, বাড্ডার পূর্বপাড়ায় তাদের পৈত্রিক দাগ নং ৮৫৪/৮৫৫ নম্বর জমিতে একটি তিনতলা ভবন রয়েছে, যেখানে কয়েকটি পরিবার ভাড়া থাকেন। জমি নিয়ে মামলা চলমান এবং আদালত ইতোমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। তবুও বিবাদী পারুল বেগম, আনিছ উদ্দিন, জব্বার, বিল্লাল, বন্যা, রবিন, শাওন, আলো ও রওশন আরা প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৫ আগস্ট সকাল ৭টার দিকে তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে তার বাড়ির সিসি ক্যামেরা ভেঙে ফেলে এবং জোরপূর্বক নির্মাণকাজ শুরু করে। বাধা দিতে গেলে রনি খান ও তার চাচাতো ভাই আলমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর বাড্ডা থানায় অভিযোগ করলে এসআই আনিচ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও কার্যত দখলকারীদের পক্ষেই অবস্থান নেন। এমনকি থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জায়গা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিলেও বিবাদীরা কোনো নির্দেশ মানেনি এবং নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
রনি খান অভিযোগ করেন, "স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও অসাধু পুলিশ সদস্যের প্রত্যক্ষ সহায়তা ছাড়া আদালতের আদেশ অমান্য করার দুঃসাহস বিবাদীরা দেখাতে পারত না।"
এসময় তিনি চার দফা দাবি জানান—
১. অবিলম্বে অবৈধ দখল কার্যক্রম বন্ধ করা।
২. আদালতের আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৩. সহযোগী পুলিশ সদস্যদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা।
৪. সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা ও আইনের শাসন নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এলএম)

মন্তব্য করুন