মা-বাবার সঙ্গে যা কখনোই করবেন না
মা-বাবার সঙ্গে সন্তানের আচরণই পরবর্তী প্রজন্মের কাছে শেখার বিষয় হয়ে উঠে। আপনি নিজের সন্তানদের সামনে আপনার মা-বাবার সঙ্গে যে ধরনের আচরণ করবেন সেগুলোই তারা আপনার কাছ থেকে গ্রহণ করবে। তাই তাদেরকে ছোটবেলা থেকে আদবকেতা শেখানোর দায়িত্বটা আপনারই। তা না হলে আপানার যে কোনো ভুল আচরণই শিখে ফেলবে। পরবর্তীতে আপনার উপরই এসব প্রয়োগ করবে। তাই মা- বাবার সঙ্গে সব সময়ে সম্মানজনক আচরণ করুন।
শুদ্ধাচার
২. তাদের জন্য কিছু আনতে হবে কিনা, কিছু খেতে ইচ্ছে করছে কিনা জিজ্ঞেস করুন। সুযোগ থাকলে তাদের জন্য কিছু নিয়ে আসুন। না চাইতে কিছু পেলে তারা খুশি হবেন।
৩. নিয়মিত শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নিন। অসুস্থ হলে যথাসাধ্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন।
৪. বয়স বাড়লে মানুষ দ্বিতীয় শৈশবে চলে যায়। এই সময় তাদের প্রতি সহমর্মী হোন।
৫. মতের অমিল হলেও মা-বাবার সঙ্গে তর্ক করবেন না।
৬. তাদের সাথে ধমকের সুরে কথা বলবেন না। মা-বাবার যে কোনো প্রশ্নের উত্তর বিনয়ের সঙ্গে দিন।
৭. খাবার টেবিলে তাদের সঙ্গে বসুন। তাদের প্লেটে সবার আগে খাবার উঠিয়ে দিন, নিজের সন্তানের মতো।
৮. তাদেরকে ঘুমানোর সব ব্যবস্থা করে নিজেরা ঘুমাতে যান। আর প্রয়োজনীয় জিনিস তাদের কাছে রাখুন, রাতে যেন খুঁজে পেতে কষ্ট না হয়।
৯. যে কোনো কাজে যাওয়ার আগে তাদের পরামর্শ ও আশির্বাদ নিন। আপনার ধ্যান-ধারনা সমকালীন হলেও, জীবন ও জগৎ সম্পর্কে তারা আপনার চেয়ে অভিজ্ঞ।
১০. সাপ্তাহিক ছুটির ফাঁকে ব্যক্তিগত কাজের ফাকে তাদের জন্য সময় রাখুন, তাদের পছন্দের খাবার রান্না করুন তাদেও নিয়ে বেড়াতে যান। যে কোনো উৎসবে বা মেলায় তাদের সঙ্গে নিন।
১১. পারিবারি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করার সময় আগ বাড়িয়ে কথা বলবেন না। তাদের সিদ্ধান্ত, উপদেশ আপাতত অপছন্দ হলেও তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ বা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না।
১২. শিশু বয়সে তারা আপনাকে যেভাবে আগলে রেখেছে সেভাবেই তাদেরকে আগলে রাখুন। বোঝা মনে করে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানোর কথা ভুলেও চিন্তা করবেন না।
১৩. জীবন যেমন স্বাভাবিক, মৃত্যু স্বাভাবিক। জীবন যেমন সম্মানজনক, মৃত্যু তদরূপ। মৃত্যু পথযাত্রী মা-বাবাকে একাকী নির্জন সেলে ফেলে রাখবেন না। ১৪. মা-বাবা মরে গেলেও তাদের মাগফেরাতের জন্য দোয়া করুন। সাধ্যমতো দান করুন।
১৫. সামর্থবান হলে এতিম ও অসহায়দেও দায়িত্ব নিন। নিজের মা-বাবাকে ভরণপোষণ করার জন্য যা করতেন তার কিছুটা অসহায় মানুষদের জন্য করুন।
(ঢাকাটাইমস/১৯এপ্রিল/এসআর/এজেড)

মন্তব্য করুন