সরকারি খাদ্য সহায়তা বিতরণে অনিয়মের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

সাইমুম সাব্বির শোভন, জামালপুর
 | প্রকাশিত : ০৭ মে ২০২০, ২০:৩৮

জামালপুরের ইসলামপুরে করোনায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে সরকারি খাদ্যসহায়তা বিতরণে অনিয়ম নিয়ে পৌর কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান ও মেয়রের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে। আবার খাদ্য সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগেও রয়েছে হতদরিদ্রদের। সব মিলিয়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা নিয়ে হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে ইসলামপুরে।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী কর্মহীন অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে। আর কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তা তদন্ত করে দেখা হবে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করায় কর্মহীন হয়ে পড়ে ইসলামপুর উপজেলার শ্রমজীবী ও বিভিন্ন পেশাজীবীসহ নিম্নআয়ের লাখো মানুষ। এসব মানুষের মাঝে সরকারি খাদ্য সহায়তা দিতে এ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ থেকে ২১১ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৮ লাখ ২২ হাজার টাকা ও শিশু খাদ্য ক্রয়ের জন্য ২ লাখ ৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এসব খাদ্যসামগ্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জনপ্রতিনিধিরা কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করে আসছেন।

খাদ্য সহায়তা সামগ্রী বিতরণে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরতে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইসলামপুর পৌরসভার ৯ জন কাউন্সিলর। তাদের অভিযোগ, পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখ করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয় না করেই লাখ টাকা আত্মসাত করেন এবং উপজেলা পরিষদ থেকে প্রাপ্ত খাদ্য সহায়তার ১৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণে নানা অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।

ইসলামপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র অঙ্কন কর্মকার বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে ইসলামপুর পৌরসভার জন্য যা বরাদ্দ এসেছে। এটা যথাযথভাবে ব্যায় হয়নি। কাউন্সিলরদের দৃঢ় বিশ্বাস- এটা আত্মসাত করা হয়েছে।

তবে পৌর মেয়র আব্দুর কাদের শেখ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, ভাইস-চেয়ারম্যানদের নামে ৩৬ মেট্টিক টন চাল সরকারি খাদ্য সহায়তার চাল উত্তোলন করে তিনি নিজেই নিয়মবহির্ভূতভাবে বিতরণ করেছেন। তিনি এভাবে সরকারি চাল উত্তোলন ও বিতরণ করতে পারেন না।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জামান আব্দুন নাছের বাবুল বলেন, লকডাউনের পর সরাসরি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পৌর মেয়র তাদের পাশে না দাঁড়ানোর কারণে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভা থেকে ১৫ মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়। সেই চাল কোথায় বিতরণ করা হয়েছে তা উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কাউন্সিলররা জানেন না। শুধু ফেসবুকে দেন তিনি নিজের টাকায় এসব খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছেন।

লকডাউন পরবর্তী সময়ে ইসলামপুর পৌরসভার বেপারীপাড়া এলাকায় প্রায় চার হাজার কর্মহীন পরিবার রয়েছে। এসব কর্মহীন দরিদ্র নারী-পুরুষদের অভিযোগ কিছু মানুষ সরকারি খাদ্য সহায়তা পেলেও এখন পর্যন্ত এই এলাকার শত শত মানুষ সরকারি খাদ্য সহায়তা পায়নি। এতে তারা চরম কষ্টে দিন পার করছেন।

কর্মহীন শ্রমজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, এখানে ৪ হাজারের মতো লোক আছে। এখানে আমরা সর্বোচ্চ তিনশ সাড়ে তিনশ লোকে ত্রাণ পাইছি। আর বাকি লোক এখনো পায়নি।

তবে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেছেন, আমরা যে বরাদ্দ পেয়েছি- তা উপজেলা মানবিক সহায়তা কমিটির মাধ্যমে এমপির নির্দেশে বিতরণ করে আসছি। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে, তা তদন্ত হবে। আর ভাইস-চেয়ারমানদের নামে বরাদ্দ দেয়ার নিয়ম রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৭মে/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে চার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের

ডোমারে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক 

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

‘মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!’

ফেলোশিপে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন সাতক্ষীরা মেডিকেলের ডা. মাহমুদুল হাসান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :