লকডাউনে বেতন নেই, কুয়ায় আত্মঘাতী ৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২০, ১৭:৩৯| আপডেট : ২৩ মে ২০২০, ১৭:৫৫
অ- অ+
কুয়ো থেকে তোলা হচ্ছে মৃতদেহ। ছবি: পিটিআই।

লকডাউনে দুই মাস বেতন না-পাওয়া শ্রমিক ও তাদের পরিবার মিলিয়ে নয়জনের দেহ উদ্ধার হল তেলঙ্গানার গ্রামের এক কুয়া থেকে। তাদের মধ্যে ছ’জন পশ্চিমবঙ্গের এবং একই পরিবারের। দু’জন বিহারের। একজন ত্রিপুরার।

ভারতের হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের ধারণা, এটা গণ-আত্মহত্যা। নিহতরা ঘরে ফিরতে পারছিলেন না। দু’মাস ধরে জুটমিল ও অন্য কারখানা থেকে বেতন না পেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবারই মুখ্যমন্ত্রী কে সি রাও জানিয়েছেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরার জন্য ট্রেন-বাসের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। হেঁটে যেন কেউ বাড়ির পথ না-ধরেন। সে দিনই হায়দরাবাদের উপকণ্ঠে গোরেকুন্টা গ্রামে এই কুয়োটি থেকে চার জনের দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রবার মেলে আরও পাঁচ জনের।

পুলিশ বলছে, নিহত কারও শরীরে আঘাতের চিহ্নও নেই। ফলে হত্যার ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা কম বলে মনে করা হচ্ছে। ঘরে ফিরতে না-পারা, আশ্রয় খোয়ানো এবং চরম আর্থিক সংকট নিয়ে সকলেরই অবস্থা ছিল কোণঠাসা। পশ্চিমবঙ্গের মকসুদ আলম ২০ বছর আগে গোরেকন্টার এক জুট মিলে কাজ পান। কারখানা লাগোয়ো দু’টি ঘরে সপরিবার থাকতেন তিনি। লকডাউনে বেতন বন্ধ হয়। খোয়ান আশ্রয়ও।

স্থানীয় এক দোকানদার নিজের গুদামে আশ্রয় দিয়েছিলেন তাদের। তারই কাছে এই কুয়াটি। যা থেকে মিলেছে মকসুদ, তার স্ত্রী নিশা, দুই ছেলে সোহেল ও শাবাদ, মেয়ে বুশরা খাতুন এবং তিন বছরের নাতি শাকিলের দেহ। ত্রিপুরার বাসিন্দা শাকিল আহমেদ জুট মিলের গাড়ি চালাতেন।

এ ছাড়া বিহারের শ্রীরাম ও শ্যাম অন্য একটি কারখানায় কাজ করতেন। এরা সকলে একই কুয়োয় কী ভাবে মারা গেলেন, পুলিশ অন্ধকারে।

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মিটফোর্ড হত্যা: আসামিপক্ষে দাঁড়াবে না জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম
ছাত্রদলের লাখো নেতাকর্মীকে শান্ত রেখেছি: রাকিব
সিরাজগঞ্জে কবর থেকে লাশ তুলে বাড়ির উঠানে দাফন
রেলপথ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেলেন শেখ মইনউদ্দিন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা