চলেই গেলেন অধ্যাপক গোলাম রহমানের স্ত্রী নাঈম আরা

স্ত্রী নাঈম আরা হোসেনসহ সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক গোলাম রহমান করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে সবার নেগেটিভ রিপোর্টও আসে। কিন্তু করোনা থেকে সুস্থ হলেও শরীরে নানা জটিলতায় শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাংবাদিকতা বিভাগের এই শিক্ষকের স্ত্রী।
মঙ্গলবার ভোর পৌনে ছয়টার দিকে নাঈম আরা হোসেন মারা যান। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রবীণ শিক্ষক গোলাম রহমানের স্ত্রী নাঈম আরা হোসেন প্রায় দেড় মাস ধরে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তিনি করোনায় সংক্রমিত হলেও পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে তার নমুনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। তবে তিনি নিউমোনিয়া, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় এই হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন।
তার মেয়ে মেয়ে আফরুনা রহমান বলেন, ‘মায়ের করোনা পজিটিভ থাকার পর তা নেগেটিভও হয়। করোনা-পরবর্তী জটিলতায় তার শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতিসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। তার ফুসফুস মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি চলেই গেলেন।
ইচ্ছা অনুযায়ী আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফনের চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান নাঈম আরার মেয়ে। মায়ের আত্মার মাগফিরাতের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন আফরুনা।
অধ্যাপক গোলাম রহমান গুলশানের নিকেতনে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন ৷ গত ২৯ মে প্রথমে তাঁর স্ত্রী নাঈম আরা হোসেনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়৷ এরপর পরীক্ষা করালে গোলাম রহমানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদেরও করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৷ তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ ১ জুলাই গোলাম রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে। নেগেটিভ ফল পাওয়ার পরও তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালেই থাকতে হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক গোলাম রহমান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/বিইউ/এমআর)

মন্তব্য করুন