প্রসূতি মায়ের পেটের মেদ কমানোর ৬ উপায়

গর্ভকালীন সময়ে বেশিরভাগ নারীর ওজন ৫ থেকে ১৮ কেজি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। সন্তান জন্মাদানের পর এই ওজন কমানো খুব সহজ নয়। নতুন মা হওয়ার দায়িত্ব সামলানো এবং শরীরকে আগের ওজনে ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, সন্তান প্রসবের ঠিক পরে ব্যায়াম করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তবে ব্যায়াম ছাড়াও ছোট ছোট অনেক বিষয় রয়েছে যা আপনাকে আপনার গর্ভাবস্থার পূর্বের চেহারায় ফিরতে সহায়তা করতে পারে।
এছাড়া ছয়টি সহজ বিষয় উল্লেখ করা হলো, যেগুলো প্রসবোত্তর পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে-
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান
বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রতিদিন মায়ের ৫০০ ক্যালোরি বার্ন করতে সহায়তা করে। তবে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে মায়ের পর্যাপ্ত ক্যালোরিযুক্ত খাবার নিশ্চিত করা জরুরি। বেশিরভাগ মা ই সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান। এটা ঠিক মতো করলেই চর্বি কমবে তা জানা থাকাটাও সন্তুষ্টির।
ঘন ঘন খাওয়া
প্রসবোত্তর সময়ে মায়ের উচিত ঘন ঘন খাবার খাওয়া। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক খাবার বেশি খেতে হবে। যেসব মায়েরা তাদের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, শিশুর পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য তাদের দৈনিক ১৮০০-২২০০ ক্যালোরি প্রয়োজন। এজন্য প্রোটিন ও শর্করাজাতীয় খাবার ঘন ঘন খেতে হবে। তবে এই সময়ে উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ এটি আপনাকে যথেষ্ট পুষ্টি সরবরাহ করে না।
সামান্য ব্যায়াম
সন্তান প্রসবের পর শরীর আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে ব্যায়াম করুন। তবে তা মোটেই শক্ত ব্যায়াম হওয়া উচিত নয়। এক্ষেত্রে হালকা নাচ বা মজাদার কিছু করতে পারেন। শরীরকে সক্রিয় রাখাটাই হলো আসল কথা। সন্তানকে জড়িয়ে ধরে মজাদার হাঁটা বা হালকা লাফের মতো কিছু করতে পারেন যেগুলোতে আপনি ও আপনার বাচ্চা আনন্দ পাবে।
হাঁটা দিয়ে শুরু করুন
প্রসবোত্তর সময়ে ব্যায়ামের শুরু হোক হাঁটা দিয়ে। হাঁটাচলাকে ব্যায়ামের মতো কিছু মনে না হলেও সন্তান জন্ম দেয়ার পর এটি ফিটনেস রুটিন ঠিক রাখার অন্যতম উপায়। আস্তে আস্তে হাঁটার গতি বাড়ান। হাঁটার সময়ে বাচ্চাকে কোলে বা সামনের ব্যাগে রাখতে পারেন। এটি বাড়তি ওজন যুক্ত করার পাশাপাশি আপনার মনকে প্রশান্তি দেবে।
গভীর শ্বাস প্রশ্বাস নিয়ে পেট সংকোচনের চেষ্টা করুন
যোগ ব্যায়ামের ক্ষেত্রে অনেককেই হয়তো আপনি এটা করতে দেখেছেন। এই অনুশীলন আপনার পেটের টোনিং শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। সোজা হয়ে বসুন এবং জোরে শ্বাস নেয়ার সময় পেট সংকোচন করুন এবং ধীরে ধীরে নিঃশ্বাস ছাড়ুন।
জোয়ান পানি পান করুন
প্রতিদিন এক চা চামচ জোয়ান এক গ্লাস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খান। এটি পেটের চর্বি কমাতে এবং হাইড্রেটেড রাখতে সহায়তা করতে পারে। পর্যাপ্ত পানি পান ওজন হ্রাস প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ।
ঢাকা টাইমস/১৬আগস্ট/একে

মন্তব্য করুন