বাঘ আতঙ্কে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে গ্রামবাসী

পঞ্চগড় প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ আগস্ট ২০২০, ২১:৪৩

পঞ্চগড়ের ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা মুহুরিজোত, সাহেবীজোত, উষাপাড়া ও বাদিয়াগছ এলাকার লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন ধরে ওই এলাকা একাধিক মানুষ দিনে ও রাতে বাঘ দেখতে পেয়েছেন। বাঘের আক্রমণের শিকার হয়েছে স্থানীয় কৃষকের গরু ছাগলও। বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে বাঘের পায়ের ছাপও। এলাকায় বাঘের আনাগোনা দেখা যাওয়ায় স্থানীয় হাজার মানুষ আতঙ্কে দিন পার করছেন। রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার দিনভর সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের মুহুরিজোত, সাহেবীজোত, উষাপাড়া ও বাদিয়াগছ গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় পরিচর্চাহীন একটি চা বাগানের আশপাশে উৎসুক মানুষের ভিড় লেগেছিল। দূর-দূরান্ত থেকে মানুষজন বাঘ দেখতে এসেছেন। চা বাগানের ঝোপ ঝাড়ে বাঘ লুকিয়ে রয়েছে বলে আতঙ্কিত স্থানীয়রাও। অনেকে চা বাগানের ভেতরে ঢুকেও বাঘ দেখার চেষ্টা করছেন। বিভিন্ন স্থানে বাঘ ধরতে ফাঁদ পেতে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, রাতে পথে প্রান্তরে বাঘ ঘুরছে। আকারে লম্বা ও গায়ে কালো গোল ছাপ। দুটি বড় ও তিনটি বাঘ সেবক পাশের মহাসড়কেও চলাফেরা করছে। এরা শিকার ধরতে ঝোপ ঝাড়ের পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে এসব বাঘ প্রবেশ করেছে বলে তাদের ধারণা। এরা শিকার ধরতে ঝোপ ঝাড়ের পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা।

খবর পেয়ে বাঘ ধরতে ঢাকা থেকে বন বিভাগের প্রশিক্ষিত কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ শুরু করেছেন। বন বিভাগের ধারণা, লোকালয়ে দেখা যাওয়া বাঘগুলো চিতাবাঘ।

উষাপাড়া এলাকার আবুল কালাম বলেন, ‘আমি গরু নিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। যে গরুটি সবার আগে আগে যাচ্ছিল- সে গরুটির উপর হামলা করে বাঘটি। মুহূর্তে গরুটি মেরে তার কাছে বসে ছিল বাঘটি। আমি গরুটি উদ্ধার করতে গেলে আমার দিকেও তেড়ে আসে। পরে আমি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে আসে। দ্রুত পালিয়ে যায় বাঘটি।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ হোসেন বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বাঘের কিছু আলামত পেয়েছি। বন বিভাগের কর্মকর্তারা বাঘ ধরা বা বাঘের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। স্থানীয়দের প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া বাঘের আক্রমণে যাদের গরু-ছাগল মারা গেছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করা হবে।

সামাজিক বন বিভাগ দিনাজপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের তথ্য মতে দুটি প্রাপ্তবয়স্ক ও তিনটি বাচ্চা বাঘ দেখেছেন তারা। তাদের বর্ণনা অনুযায়ী আমরা ধারণা করছি- বাঘগুলো চিতাবাঘ। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা ঢাকা থেকে একটি অভিজ্ঞ টিম পাঠিয়েছেন। তবে বাঘগুলোর সুনির্দিষ্ট অবস্থান এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা বাঘগুলোর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে জীবিত অবস্থায় ধরতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

(ঢাকাটাইমস/২১আগস্ট/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :