১৫ আগস্ট স্মরণে আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভার্চুয়াল শোক সভা

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির জাতির জন্য বিভিষিকাময় দিন। এদিন ঘাতকের বুলেটে শহীদ হন জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এবং তাদের তিন পুত্রসহ শেখ পরিবারের ২০ সদস্য। ওই ভয়াল রাতে নিহত সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করল আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি ২৯ আগস্ট ওয়েবিনারের মাধ্যমে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে।
ভার্চুয়াল এই স্মরণ সভার বিষয় ছিল ‘১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞ ও জাতির উপরে এর প্রভাব’। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি। তিনি তার বক্তব্যে ১৯৭৫ এর সার্বিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। বর্তমানে সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে ১৯৭৫ এর বিরূপ প্রভাব সম্পর্কেও ধারণা দেন। ৭৫ পরবর্তী দুঃসময়ের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আবার বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি বলেন, ‘বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগ ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সকলকে জানানোর জন্য বিভিন্ন ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরি করেছে। আরও ডিজিটাল কনটেন্ট তৈরির কাজ চলছে।’ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এসব ডিজিটাল কনটেন্ট ছড়িয়ে দিতে আশাবাদী তিনি।
ওয়েবিনারের অন্যতম অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ তার বক্তব্যে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের সম্পর্কে মতামত দেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর ২১ আগস্টের ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা নিয়ে কথা বলেন। ওয়েবিনারে অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
ওয়েবিনারে সংসদ সদস্য এবং আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা ১৫ আগস্টের ভয়াবহতা, নৃশংসতা নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার সংগঠনের কার্যকলাপ উপস্থাপন করেন।
ওই সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভার্চুয়াল স্মরণ সভায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু এবং বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবার কারণ সম্পর্কে তার মতামত দেন।
ডিজিটাল এই শোকসভায় উপস্থিত ছিলেন, এশিয়ান ওশেনিয়ান কম্পিউটিং ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ এইচ কাফি। তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রায় কার্যকর, ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা বিষয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুল্লাহ তুহিন।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের কার্য নির্বাহী সদস্য রেজওয়ানা খান, মো. ইউসুফ খান, বরদা ভূষণ রায় লিটন, এ এইচ এম জাহিদুর রেজা চন্দন, মাহবুবুর রহমান, কামরুল হাসান ইমন, মো. ফখরুল হাসান শামীম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন্স স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এবং আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
সঞ্চালনায় ছিলেন আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসাইন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আছিয়া নীলা।
উল্লেখ্য, আমরাই ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আওয়ামী লীগ সরকার তথা শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগ, পরিকল্পনা তুলে ধরতে কাজ করছে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে মানুষের জীবন মান উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলার স্বপ্নকে ধারণা করে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/এজেড)

মন্তব্য করুন