সেতু ধসে তিন মাস ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ
| আপডেট : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:২৭ | প্রকাশিত : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:১৪

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের পুটিপুশি সেতু ধসে প্রায় দুই মাস ধরে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ফলে জেলা শহরমুখী গাড়ি ধরতে অর্ধেক পথই হেঁটে পাড়ি দিতে হচ্ছে উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের। এছাড়া যান চলাচল ব্যাহত থাকায় অসুস্থ ও বয়স্কদের চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগ লাঘবে সেতুটি অবিলম্বে মেরামতের দাবি জানিয়েছেন পথচারীসহ স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষের জেলা শহরে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কটি শহর থেকে সরাসরি দোয়ারাবাজারের মান্নারগাঁও ইউনিয়নের আমবাড়ি-পুটিপুশি হয়ে সুরমা নদীর পাড়ে নূরপুর সিএনজি স্টেশনে এসে থেমেছে।

উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নসহ সুরমা, লক্ষীপুর ও বোগলা ইউনিয়নের প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ নূরপুর সিএনজি স্টেশন থেকে প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে জেলা শহরে আসা-যাওয়া করে থাকে। এবার বন্যায় সড়কের পুটিপুশি ব্রিজটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২৯ জুলাই বন্যার পানির স্রোতে পিলার থেকে মাটি সরে ব্রিজটি সম্পূর্ণ ধসে যায়। এরপর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি এলজিইডি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এবং মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। এদিকে ব্রিজটি ধসে পড়ার পর থেকে এ পর্যন্ত স্থানীয় নূরপুর সিএনজি স্টেশনে অনির্দিষ্টকালের জন্য যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ যাত্রীসহ ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা পড়েছেন বিপাকে। সময়মতো কর্মস্থলে যেতে পারছেন না সর্বস্তরের মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দা রিটন দাস জানান, ব্রিজটি ধসে পড়ার পর থেকে নূরপুর সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সময়মতো কর্মস্থলে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হয়ে গাড়ির জন্য অনেক পথ হেঁটে যেতে হচ্ছে।

সিএনজিচালক কলমদর আলী জানান, প্রায় দু মাস ধরে নূরপুর সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকায় এখন যাত্রীদের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। বেশিরভাগ সিএনজিচালক এখন বেকার সময় পার করছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য দীপক দাস বলেন, ‘পুটিপুশি ব্রিজ ধসে যাওয়ার পর উপজেলা পিআইও অফিস এবং এলজিইডি অফিসকে জানিয়েছি। তাদের কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজের ছবিও পাঠিয়েছি। কিন্তু এর প্রায় দুই মাস অতিবাহিত হয়ে গেলেও তারা কোনো খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাসহ বাইরের মানুষদের যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্রিজটি দ্রুত মেরামতের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী দেবতোষ পাল জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটি শিগগিরই সরেজমিনে দেখে মেরামতের জন্য রিপোর্ট পাঠানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :