বন্যায় পুঠিয়ার ১০ গ্রাম প্লাবিত

বারনই নদীর পানি বৃদ্ধিতে রাজশাহীর পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম এখন বন্যা কবলিত। এতে ওই এলাকার অধিকাংশ কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে পড়েছে। তলিয়ে গেছে আমন ধান, পান বরজসহ বিভিন্ন ফসল ক্ষেত ও পুকুর। এমন অবস্থায় সহায়তা না পাওয়ায় নিন্ম আয়ের সাধারণ পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, ‘গত কয়েকদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তার উপর এক শ্রেণির লোকজন বারনই নদীতে নেটজাল ব্যবহার করে মৎস্য শিকার করছেন। এর ফলে পানি ফুলে গিয়ে গত তিন-চার দিনে এই ইউনিয়নের গবিন্দপাড়া, মঙ্গলপাড়া, সাতঘোষপাড়া, বাজে সাতঘোষপাড়া, সাধনপুর, বিদিরপুর, শ্রীরামপুরসহ অন্তত ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া আরো ১২টি গ্রামের আংশিক এলাকায় পানি ঢুকেছে। ফলে এই এলাকাগুলোতে বেশির ভাগ মাটির তৈরি কাঁচা বাড়ি-ঘর ধসে পড়ছে। আর এতে করে আমন ধান, বিভিন্ন পুকুরের মাছ ও পানের বরজ ডুবে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি আমি ইতোমধ্যে উপজেলা চেযারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত সরকারি অনুদান না আসায় ক্ষতিগ্রস্তদের কোনো সহয়তা দেওয়া হয়নি।’
তবে এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিলমাড়িয়া এলাকাতে বন্যার করণে কিছু এলাকায় ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহয়তার ব্যবস্থা নিয়েছি।’
উপজেলা চেয়ারম্যান হিরা বাচ্চু বলেন, ‘বারনই নদীতে নেটজাল ব্যবহারে পানি চলাচলে বাধাগ্রস্থ্য হচ্ছে। গত দু’দিনে ওই নেটজালগুলো অপসারণ করা হচ্ছে। আগামী দু’দিনের মধ্যে প্লাবিত এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করতে একটি তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু খাদ্য সহয়তায় ইতোমধ্যে পদক্ষেপ নেয়াও হয়েছে।
(ঢাকাটাইসম/২অক্টোবর/পিএল)

মন্তব্য করুন