পতিত জমিতে লাউচাষে লাভবান মুদি দোকানি

করোনার মধ্যে বেকার বসে না থেকে নিজের পতিত জমিতে উন্নত জাতের লাউচাষ করেছিলেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মুদি দোকানি ললিত চন্দ্র দাস। কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার এই প্রান্তিক কৃষক অল্প খরচে লাউচাষ করে কম সময়েই লাভবান হয়েছেন। তার সফলতা দেখে গ্রামের অনেকেই এখন লাউচাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় ললিত চন্দ্রের সঙ্গে।
তিনি জানান, একটি পতিত জমিতে লকডাউনের সময় কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় ২৫ শতাংশ জমিতে সেপ্টেম্বর মাসে উন্নত জাতের লাউয়ের বীজ বপন করেন তিনি। কম সময়ে ফলন দেওয়ায় ৫০ শতাংশ জমির অর্ধেক জমিতে লাউচাষ ও বাকি জমিতে টমেটো ও লালশাক চাষ করেছেন। মাত্র দেড় মাসে তার বপনকৃত লাউ গাছে ফলন শুরু হয়। প্রথম বছরেই বাম্পার ফলন পেয়েছেন তিনি। স্থানীয় বাজারে তার ক্ষেতের লাউ কোনোরকম যানবাহন খরচ ছাড়াই বিক্রি করতে পারছেন তিনি।
ললিত চন্দ্র দাস জানান, করোনার শুরুর দিকে সবাই যখন বেকার সময় কাটাচ্ছিল, তখন পতিত জমিতে লাউচাষ করেন তিনি। এতে তার খরচ হয় ২০ হাজার টাকা, আর এই পর্যন্ত বাজারে লাউ বিক্রি করেছেন ৫০ হাজার টাকা। ক্ষেতে এখনো অনেক লাউ রয়েছে, যা আরও ৩০-৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি জানান। অল্প সময়ে কম খরচে লাউচাষে লাভবান হওয়া যায় তাই তিনি কৃষকদের উন্নত জাতের লাউচাষ করতে উৎসাহ প্রদান করছেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক রহমতুল্লাহ জানান, লাউচাষ একটি লাভজনক। খুব কম সময় ও অল্প খরচে ফলন পাওয়া যায়। বাজারে লাউয়ের চাহিদা অনেক বেশি। প্রতিটি লাউ স্থানীয় বাজারে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করা যায়। তবে ললিতের লাউ চাষ দেখে অনেকেই আগামীতে লাউচাষে আগ্রহী হবেন বলে জানান তিনি।
ভৈরব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকলিমা বেগম বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের সার্বিক সহায়তায় ললিত চন্দ্র পতিত জমিতে উন্নত জাতের লাউ চাষ করেন। তার লাউ ক্ষেতে বেশ ফলনও হয়েছে।
কৃষি বিভাগ ললিতের মতো সব কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পাশাপাশি সঠিক পরামর্শের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। আর মাঠপর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে অনেক কৃষক স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬নভেম্বর/পিএল)

মন্তব্য করুন