নর্দান ইউনিভার্সিটি: রাজধানীর বুকে একটি সবুজ ক্যাম্পাস

নুরুজ্জামান ফারাবি
| আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৪৩ | প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১৯

উচ্চশিক্ষায় বিদেশমুখিতা কমাতে এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালে যাত্রা শুরু করে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই সাফল্যের ১৮ বছর পার করেছে এই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। রাজধানী ঢাকার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন আশকোনায় সুবিশাল ভবন নিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস। এই ক্যাম্পাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো- ঢাকার আশপাশের জেলা গাজীপুর, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, টাংগাইল, বি.বাড়িয়া থেকে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। বিমান, রেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং আন্তঃজেলা বাস পরিবহনের বৃহত্তর জংশন হচ্ছে এয়ারপোর্ট স্টেশন। দেশের যেকোনো জায়গা থেকে সকল ধরনের পরিবহনের মাধ্যমে এখানে পৌঁছা যায় সহজেই। এই এয়ারপোর্ট স্টেশনের সন্নিকটেই অবস্থিত নর্দান ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস।

অনেক অভিভাবক চিন্তায় থাকেন ছেলেমেয়েদের ঢাকা পড়ালেখা করতে পাঠালে কোথায় থাকবে? কীভাবে থাকবে? আশপাশের জেলা আগত শিক্ষার্থীদের আলাদা করে হোস্টেলে থাকার দরকার হবে না, ক্লাস শেষে দিনে দিনেই বাড়ি ফিরে যেতে পারবে।

এয়ারপোর্ট বা কাওলা বাসস্টেন থেকে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে হলো এই ইউনিভার্সিটির মনোরম ক্যাম্পাস। আট তলা ভবনের এই স্থায়ী ক্যাম্পাস দেখে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। এই ভবনের গঠনশৈলী এতটাই আধুনিক যে, সব দিক থেকেই আলো বাতাস ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে পারে। ভবনটির তিন দিকেই রয়েছে রাস্তা। ভবনের রাস্তার পাশেই রয়েছে সুন্দর মসজিদ। শিক্ষার্থীদের খেলার উৎসব চলে দিনভর। প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে গড়ে তোলা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন ও মনোমুগ্ধকর এই ক্যাম্পাস! চারপাশে সবুজে ঘেরা, রয়েছে খোলা-মেলা জায়গা ও খেলার মাঠ। মূল ভবন দক্ষিণামুখী হওয়াতে প্রতিনিয়ত দখিনা বাতাস প্রবহমান এই ক্যাম্পাসে। রাজধানী বুকে লাল কৃষ্ণচূড়ার শামিয়ানা আর শুভ্র কাশফুলের দোলা বসন্ত ও হেমন্ত ঋতুতে এখানে দৃশ্যমান।

স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ এবং অন্যান্য সুবিধা

কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের প্রায় একশত স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ। পড়ালেখার ফাঁকে গ্রুপ স্টাডি ও বিষয়ভিত্তিক আলোচনার জন্য পর্যাপ্ত বইসমৃদ্ধ লাইব্রেরি ও স্টাডিরুম। নিচ তলায় আছে প্রার্থনাগার, শারীরিক অনুশীলনের জন্য রয়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিক মানের জিমনেসিয়াম ও ইনডোর খেলার রুম। আছে ১২০০ আসনবিশিষ্ট আন্তর্জাতিক মানের অডিটোরিয়াম। ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, আইসি তৈরির জন্য রয়েছে ভিএলএসআই ল্যাব, কম্পিউটার শিক্ষার্থীদের জন্য আছে অ্যাডভান্সড ইন্টেলিজেন্ট মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সিস্টেমস বা এইমস ল্যাব। এছাড়াও আছে সার্কিট ল্যাব, ফিজিক্স ল্যাব, কেমিস্ট্রি ল্যাব, প্রোগামিং ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, কমিউনিকেশন ল্যাব, ডিজিটাল ডিজাইন ল্যাব, মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাব ও ইলেকট্রনিকস ল্যাবসহ প্রায় ৩১টি ল্যাব।

প্রথম পথযাত্রা

২০০২ সালের অক্টোবরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। বর্তমানে এখানে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়ন করছে। গত ১৮ বছরে প্রায় ৩০ হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে পাস করে সাফল্য দেখাচ্ছেন কর্মজীবনে। সব কিছুর পেছনে কর্তৃপক্ষের রয়েছে শিক্ষার গুণগত মান বাড়ানোর চেষ্টা। নিয়মিত ও খণ্ডকালীন শিক্ষক রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন।

বিভাগসমূহ

ব্যবসায় প্রশাসন, সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, হিউম্যানিটিস অ্যান্ড স্যোসাল সায়েন্স, আইন এবং হেলথ সায়েন্সসহ মোট পাঁচটি অনুষদে দশটি বিভাগে ১৬টি বিষয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ডিপ্লোমা ও সার্টিফিকেট কোর্স পরিচালনা করে থাকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অব আইটি প্রফেশনালস বা সিডিআইপির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে গ্রাফিকস ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, গেম ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অ্যাকাউন্টিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডিজিটাল মার্কেটিং ও প্রফেশনাল জাভা প্রশিক্ষণসহ ১০টি কোর্স করার সুযোগ।

শক্তিশালী আধুনিক লাইব্রেরি

শুরু থেকেই এনইউবি শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার সেবা দেয়ার ওপর জোর দিয়ে আসছে। সপ্তাহে সাত দিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে গ্রন্থাগার। দৈনিক সংবাদপত্র ও রেফারেন্স বই পড়ার জন্য রয়েছে আলাদা কর্নার। শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য গ্রন্থাগারে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ২০টি দৈনিক পত্রিকা রাখা হয় নিয়মিত।

গ্রন্থাগারে রয়েছে লক্ষাধিক বই এবং জার্নাল-ম্যাগাজিন আছে প্রায় পাঁচ হাজার। এছাড়া গ্রন্থাগারে ব্যবহারকারীদের সহায়ক সেবা দেয়ার জন্য রয়েছে গবেষণা প্রতিবেদন, বিশ্বকোষ, অভিধান, হ্যান্ডবুক, ম্যানুয়েল ও এনজিও প্রকাশনা। গ্রন্থাগারে রয়েছে ইলেকট্রনিক সম্পদের (ই-রিসোর্স) বিশাল সম্ভার। ব্যবহারকারীরা ই-বুক, ই-জার্নাল ও ই-ম্যাগাজিন পড়তে ও ডাউনলোড করতে পারেন। রয়েছে কয়েক হাজার ই-বুক ও ই-জার্নাল। গ্রন্থাগ্রারে ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে ওয়াইফাই সংযোগসহ কম্পিউটার ব্যবহারের সুযোগ। শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগারে না এসেও যেকোনো বইয়ের শিরোনাম, লেখক, কল নম্বর, কি-ওয়ার্ড, প্রকাশক ও প্রকাশকাল অনুযায়ী খুঁজতে পারেন ই-লাইব্রেরির সুবাদে। গ্রন্থাগারে শিক্ষকদের জন্য রয়েছে পৃথক বসার ব্যবস্থা।

সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ক্লাব এবং ফোরাম

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তাদের সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ ও বাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে এনইউবিতে ২০টি ক্লাব ও ১০টি ফোরাম রয়েছে। এসব ক্লাব ও ফোরাম বছরজুড়েই জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে। এছড়াও পিঠা উৎসব, বসন্তবরণ, চৈত্র সংক্রান্তি, শিক্ষামেলা জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো বিশেষ জমকালো আয়োজনে পালিত হয় এখানে। উচ্চশিক্ষার নিরন্তন পরিবেশ থাকায় মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রম সুন্দর ও সুচারূভাবে সম্পন্ন করতে পারে। অরাজনৈতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হওয়ায় নেই কোনো হানাহানি, নেই ক্লাস বন্ধ হওয়ার চিন্তা, নেই সেশন জটের ভয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরার জন্য রয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র’। যেখানে রয়েছে অসংখ্যা বই ও নথি। এই গবেষণা কেন্দ্র থেকে অনেক অজানা তথ্য শিক্ষার্থীরা সংগ্রহ করতে পারে এবং ফেলোশিপের জন্য আবেদন করে তারা।

শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি

নর্দান ইউনিভার্সিটিতে প্রতি বছর তিনবার অর্থাৎ স্প্রিং, ফল ও সামার সেমিস্টারে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। উচ্চ মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে ১০% থেকে ১০০% পর্যন্ত ছাড়। প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা বৃত্তি দেয়া হয়। রয়েছে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় স্পেশাল বৃত্তির ব্যবস্থা।

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি এবং কর্মক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েটদের ঈর্ষণীয় সফলতা

সুযোগ্য ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে নর্দান ইউনিভার্সিটি। যার ফলে বিসিএস ক্যাডার, জুডিশিয়াল সার্ভিস, আইনজীবী, ব্যাংকার, কেমিস্ট, এনজিও, বহুজাতিক কম্পানি, টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি, ইলেকট্রনিক ইন্ডাস্ট্রি, আইটি ফার্ম, সফটওয়্যার ফার্ম, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাসহ নানা পেশায় সম্মানজনক কর্মসংস্থান পাচ্ছে নর্দান ইউনিভার্সিটির গ্রাজুয়েটরা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের তরুণ ও সাহসী উদ্যোক্তা হিসেবেও কর্মজীবন শুরু করেছে অনেকে। উল্লেখ্য, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে নর্দান ইনোভেশন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ সেন্টার। এতে আগামী দুই বছরে ২০ কোটি টাকার সিড ফান্ডিং ও ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য একটি ফান্ড গঠন করা হয়েছে। যেকোন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এই ফান্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন ও মেন্টরিং সাপোর্ট পাবেন।

নর্দানের গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের নামিদামি প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। কেয়ার, শেল, মবিল, ইউনিলিভার, এইচএসবিসি, আইডিবি, এডিবি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের মতো মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সুপ্রিম কোর্ট, জজকোর্ট, বিদেশি দূতাবাস, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী, রাজস্ব বোর্ড, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে।

দক্ষ যোগ্য কর্তৃপক্ষ

দেশে এ পর্যন্ত ১০০-এর বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তির অভাব প্রকট। নর্দান ইউনিভার্সিটি এ ক্ষেত্রে সুসংগঠিত। নর্দান ইউনিভার্সিটির পরিচালনা কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দক্ষ ও যোগ্য, যাঁদের প্রায় সবাই স্বনামধন্য ও প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ।

নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মো. আবদুল্লাহ আইবিএ-র স্বনামধন্য শিক্ষক, দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ এবং একই সঙ্গে একজন সফল উদ্যোক্তা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন প্রাপ্তির পর ওইঅ থেকে গইঅ ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ফিনল্যান্ডের বিশ্বখ্যাত Helsinki School of Economics and Business Administration থেকে International MBA ও আমেরিকার University of Texas, Austin থেকে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে Labor Productivity-i Ici Ph.D ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে University of Malaysia Perlis (UNIMAP) থেকে Post Doctoral Fellowship অর্জন করেন। তিনি আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থাপনা, মুক্তবাজার অর্থনীতি, ব্র্যান্ডিং, প্রোডাক্টিভিটি, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের একজন প্রতিভাবান শিক্ষক এবং দীর্ঘ প্রায় ২৮ বছর IBA তে অধ্যাপনা করছেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত। আন্তর্জাতিকভাবে বহু অ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী ড. আনোয়ার হোসেন ৪৫ বছর যাবত অধ্যাপনা পেশায় নিযুক্ত আছেন। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। এই সময়ে তিনি আইবিএ-র পরিচালক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সূর্য সেন হলের প্রাধ্যক্ষ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে ৪৫টির অধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি আইবিএ- এর বিবিএ প্রোগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা।

উপ-উপাচার্য হিসেবে রয়েছেন বরেণ্য শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম। তার দীর্ঘ অধ্যাপনা জীবনের প্রায় ২৫ বছর কেটেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক, নর্থ সাউথ ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে। একাধারে তিনি একজন শিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক ও গবেষক হিসেবে পরিচিত সুধিমহলে।

দেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি

নর্দান ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নর্দান ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ নিজেদেরকে এর যোগ্য অংশীদার মনে করে। এ লক্ষ্য সামনে রেখে নর্দান ইউনিভার্সিটিকে বাংলাদেশের প্রথম ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ই-লার্নিং, ই-লাইব্রেরি, ই-পেমেন্ট, ভার্চুয়াল ক্লাস সুবিধা ইত্যাদিতে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য যার কোনো বিকল্প নেই।

আন্তর্জাতিক কোলাবোরেশন

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে রয়েছে এমওইউ ও স্টুডেন্ট এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম। যার ফলে শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে গ্রাজুয়েট, পোস্ট গ্রাজুয়েট, এমফিল ও পিএইচডি করার সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া, মালয়শিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, কোরিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতে উচ্চশিক্ষার সুবর্ণ সুযোগ করে দিচ্ছে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়। চীনের ন্যানটং কলেজ অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে প্রতি বছর এই ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষার্থীরা ১০০% স্কলারশিপ নিয়ে পড়ালেখা করতে যায় শিক্ষার্থীরা। এছাড়া, কটলার ইমপ্যাকট ইনকরপোরেটেড এর সঙ্গে রয়েছে অফিসিয়াল চুক্তি, এর ফলে আন্তর্জাতিক সামিটের মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে পরিচিতি ও প্রভাব বিস্তার করতে পারছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

ক্যান্টিন

শিক্ষার্থীদের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে স্বতন্ত্র ক্যাফে ও উন্নতমানের ক্যান্টিন। সকাল-সন্ধ্যা সুস্বাদু খাবার মেলে হরহামেশায়। এক কথায় বলা যায়- উচ্চ শিক্ষায় ব্যতিক্রমী এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম ‘নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ’।

লেখক: সহকারী পরিচালক, পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ, নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :