‘সংবাদ উপস্থাপনা একটা শিল্প’

তানিয়া আক্তার
  প্রকাশিত : ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৪২| আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৪৮
অ- অ+

সংবাদ উপস্থাপক এবং মডেল হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন সুমায়া হোসাইন। তার কাজের অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে নতুনদের প্রশিক্ষণও দেন। উপস্থাপনায় নিজের অবস্থান তৈরি ও সংগ্রামের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন ঢাকা টাইমসকে। আলাপচারিতায় ছিলেন তানিয়া আক্তার।

সংবাদ উপস্থাপনা আকর্ষণীয় পেশা। বিশেষ করে বর্তমান প্রজন্মের কাছে। নিজেকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার গল্পটা শুনতে চাই।

সুমায়া হোসাইন: ছোটবেলা থেকেই সুন্দর এবং স্পষ্ট উচ্চারণে কথা বলা এবং বই পড়ার অভ্যাস ছিলো। তাই স্কুলে পড়াকালীন ক্লাসে পাঠ্যবইয়ের কোন একটা অংশ সহপাঠীদের পড়িয়ে শোনানোর কাজটা বেশিরভাগ সময় আমাকে দিয়েই করাতেন শিক্ষকরা। সপ্তম শ্রেণীতে বই পড়িয়ে শোনানোর সময় স্যার বললেন ‘বাহ! তুমি তো খুব চমৎকার উচ্চারণ করে পড়তে পারো। ভবিষ্যতে তুমি সংবাদ উপস্থাপক হবে।’

স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরাও আমার উচ্চারণের প্রশংসা করতো। কিন্তু সে সময় সংবাদ উপস্থাপনা মানে কী বা কাজের ধরনই বা কেমন এ নিয়ে কোন ধরনের ধারণাই ছিলো না । তবে বাবা যখন টেলিভিশনে সংবাদ শুনতেন তার পাশে দাঁড়িয়ে আমিও শুনতাম। এভাবে টেলিভিশন দেখতে দেখতেই সংবাদ পাঠিকার সংবাদ উপস্থাপনের ধরণ বেশ ভালো লেগে যায়। তখন থেকে এই পেশার প্রতি আগ্রহ তৈরি হতে থাকলো । উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করার পর স্বপ্নটা বাস্তবায়ন করা ইচ্ছে হলো এবং স্নাতক শেষ করেই সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে সক্ষম হই।

এই পেশায় আসার পেছনে পারিবারিক উৎসাহ বা সহযোগিতা ছিল কি?

সুমায়া হোসাইন: আমার পরিবারের এই পেশা বেছে নেবার জন্য উৎসাহটা না দিলেও বড় ভাই আমাকে সব ব্যাপারে সহযোগিতা করতেন। কিন্তু যখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে বিজনেস টিমে সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে আমার চাকরি হয় তখন সবারই একটা ‘না’ ছিল। সেখানে এক সপ্তাহ কাজ করেছি। সেখানে কাজ করা অবস্থায়ই ফিনান্সিয়াল সেক্টরে চাকরি হওয়ায় সেখানে কর্মজীবন শুরু করার জন্য বলা হয়। তাই পারিবারিক মতের কারণেই যে ব্যাকিং সেক্টরে গেছি তা না তবে আমারও ব্যাকিং সেক্টরে আগ্রহ ছিলো। ফিনান্সিয়াল সেক্টরে পাঁচ বছর চাকরি করার পর ব্যাংকে কাজ করি। এরপর মাস্টার্সে বিয়ে হয়। তখনো চাকরি করছি। তবে ব্যক্তিগত কারণে এক বছর চাকরি থেকে দূরে ছিলাম। কারণ আমি যেমন একজন ভালো কর্মী তেমনি একজন ভালো মা হতে চেয়েছি। তাই মাতৃত্বে ছাড় দিতে হয় এমন কিছুই করিনি। মেয়ের বয়স এখন পাঁচ। তাকে পূর্ণ মাতৃত্বের ছায়াতলে রেখেই বড় করেছি। কোন অভিযোগ যেন আমার মেয়ে না রাখতে পারে সে অনুযায়ী আমার পরবর্তী পেশা বেছে নিয়েছি।

আমার মেয়ের বয়স যখন দুই মাস তখন আবারো চাকরি জীবনে প্রবেশ করি টিবিএন২৪ এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। সেখানে দুইবছর কাজ করার পর বাংলা টিভিতে সিনিয়র নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে এক বছরের বেশি কাজ করি। এরপরই টিবিএন২৪ এ এজিএম এবং চিফ নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে জয়েন করি । তবে আমার কাছে সংসারটাও গুরুত্বপূর্ণ। তাই এর সঙ্গে সাঞ্জস্যপূর্ণ হয় এমন কিছুই করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তখন ব্যাংকিং পেশার জীবনযাপনের সঙ্গে আমার সংসার জীবন না মিল পাওয়ায় আবারো আমার প্রিয় পেশায় ফিরলাম। তারপর থেকে আমার দক্ষতা, ব্যবহার এবং দ্বিতীয়বার এই পেশায় আসতে স্বামীর সহযোগিতা এই সবকিছুই আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।

সংবাদ উপস্থাপনায় আসতে আপনি কী কোন ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিয়েছিলেন?

সুমায়া হোসাইন: সংবাদ উপস্থাপনা একটা শিল্প। তাই কন্ঠস্বর কিংবা বাচনভঙ্গি যত ভালোই হোক না কেন আমি চেয়েছিলাম প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে এই পেশার জন্য যোগ্য করে গড়ে তুলতে। আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি ‘বিজেম’ নামে এই প্রতিষ্ঠান থেকে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দেশের সংবাদ উপস্থাপনাকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন।

সংবাদ উপস্থাপক অন্যদিকে একই প্রতিষ্ঠানের এজিএম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। উপস্থাপকদের ক্ষেত্রে আমাদের কাছে যেমনটা মনে হয়, আমরা বাইরে থেকে যা দেখি বেশ কোমল হৃদয়ের মানুষ হন তারা, কিন্তু প্রশাসক হিসেবে একটু কঠোর হওয়ার বিষয়টি দাবি রাখে। এই দুয়ের মধ্যে সমন্বয় করেন কীভাবে?

সুমায়া হোসাইন: আমি বরাবরই শিক্ষার্থী হিসেবে মেধাবী ছিলাম। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফলাফল নিয়ে উত্তীর্ণ হই। তারপর স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেও প্রথম শ্রেণী নিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা শেষ করি। তাই স্নাতক শেষ হওয়ার আগেই একটা ফিনান্সিয়াল কোম্পানি শিক্ষানবীশ হিসেবে চাকরি হয়। তারপর সেখানে চাকরি করা হয় দীর্ঘ পাঁচ বছর। তাই প্রশাসনিক দায়িত্ব খুব ভালোভাবেই আয়ত্ত করেছিলাম। ফলে এই প্রতিষ্ঠান যখন জানালো প্রেজেন্টেশন টিমটাকে সাজাতে চাচ্ছে। তাই প্রশাসনিক লোকবলের দরকার হয় এবং প্রশাসনিক দক্ষতা থাকায় আমাকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়। ফলে কোমল এবং কঠোর; এই দুই ব্যক্তিত্বের সমন্বয় করা আমার জন্যও সহজ ছিল। তবে ব্যক্তিত্বের এই সমন্বয় দীর্ঘদিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চর্চাটা মূলত মানুষের সঙ্গে সহজভাবে মিশতে পারার গুণটি বেশ সহায়তা করে।

চাকরির পাশাপাশি আপনি মডেল হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন। শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।

সুমায়া হোসাইন: আমি কখনোই মডেল হতে চাই নি। কিন্তু হঠাৎ আমার এক ছোট বোন তার ফ্যাশন হাউজের জন্য আমাকে একটা শাড়ি পরা নারীর মডেল হতে বলল। আমার চেহার লুক এবং উচ্চতা সব মিলিয়ে শাড়িতে আমাকে মানাবে এমন অনুরোধ করতে লাগলো। তারপর ভাবলাম ঠিক আছে কাজটা করেই দেখি কেমন হয়। তখন ২০১৭ সাল। শাড়ি পরে মডেলিং করলাম। এরপর অনেক ফ্যাশন হাউজ আমার সেই মডেলিং এর ছবি কপি করে তাদের ওখানে দিয়ে দেওয়ায় চারপাশে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ল। সবাই বেশ উৎসাহ দিতে লাগলো। এভাবেই শুরু...তবে আমি কর্পোরেট শ্যুট করি। আমার কাছে মনে হয় এটা মডেলিং হলেও সম্মানের। আর আমার মনে হয় এটা আমার ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও যায়। তাই এটা করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ভালো মানের কর্পোরেট শ্যুট করেছি।

সংবাদ উপস্থাপনা, প্রশাসনিক দায়িত্ব এবং মডেলিংয়ের পাশাপাশি আপনি একজন প্রশিক্ষকও। শিক্ষকতায় আসায় আগ্রহ সম্পর্কে জানতে চাই।

সুমায়া হোসাইন: আমাদের পরিবার এবং স্বজনদের মধ্যে অনেকেই শিক্ষক। তাই এই পেশা আমার কাছে অন্য সব পেশার চেয়ে ভিন্ন মনে হতো। অনেকে মনেও করতো আমিও হয়তো শিক্ষকতা পেশাতেই আসব। তাই জীবনের এক পর্যায়ে এসে মনে হলো আমার অভিজ্ঞতাগুলো শেয়ার করা দরকার। কারণ সংবাদ উপস্থাপনায় আমার শুরুর সময়টায় তেমন সুযোগ ছিলো না। আমি চাই নতুন প্রজন্মের যারা আগ্রহী তারা যেন ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে এই পেশাকে আরো উচ্চতায় নিয়ে যায়। তাই ২০১৭ সাল থেকে সংবাদ উপস্থাপনার যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে সেগুলোতে প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করি। সেখানে তরুণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সীরা শিখতে আসে। চেষ্টা করি বন্ধুসুভল এবং শিক্ষাবান্ধব একটা পরিবেশ তৈরি করে শেখাতে। তাই আমি শুধু শেখাই না শিখিও। এখন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে শেখাতে যাই। সময়টা বেশ উপভোগ করি।

আপনার ছাত্রজীবন সম্পর্কে শুনতে চাই। লেখাপড়া কোথায়, কোন বিষয়ে করেছেন?

সুমায়া হোসাইন: আমার জন্ম ঢাকায়। পড়াশোনা করেছি ঢাকাতেই। মাধ্যমিক শেষ করেছি জুরাইন থেকে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেছি মতিঝিল আইডিয়াল। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করেছি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ম্যানেজমেন্টে। ছাত্রজীবনে কখনো বিজ্ঞান বিভাগ কিংবা মানবিক বিভাগ নিয়ে আগ্রহ জন্মায়নি। ব্যবসায়িক জগত সম্পর্কে বরাবরই আমার আগ্রহ ছিলো। তাই ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পড়াশোনা করেছি। পরে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরেও ব্যবসায় প্রশাসনে পড়েছি।

জীবনে কী হতে চেয়েছিলেন?

সুমায়া হোসাইন: আমি ব্যাংকিং সেক্টারে ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলাম। ছোটবেলায় অন্য অনেক বাবা মায়ের মতো আমার বাবাও চেয়েছিলেন মেয়ে ডাক্তার হবে। কেউবা আমার উচ্চতা এবং গায়ের রং দেখে বলতো মেয়ে এয়ারহোস্টেট হবে। এমন আরো কত কী! তবে ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি নিউজ প্রেজেন্টার হতে চাইতাম।

এই পেশায় আসার পেছনে চ্যালেঞ্জগুলো কেমন ছিলো?

সুমায়া হোসাইন: আমি স্নাতক শেষ করার সময়টা ছিলো ২০১০ সাল। তখন সংবাদ উপস্থাপক হওয়ার পথ এতটা সুগম ছিলো না। কারণ এই পেশায় আসতে গেলে প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হবে, কোথায় নেওয়া যাবে অর্থাৎ কোন ধরনের প্রতিষ্ঠান এ পেশায় দক্ষ করে তোলে এ ধরনের তেমন তথ্যে খুব প্রচার ছিল না। ফলে অনেকের কাছে জানতে চাইতাম কোথাও এই পেশার জন্য কোর্স করানো হয় কি না? যদি করানো হয় আমাকে যেন জানায়। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল কারণ এভাবে অনেক দেরি হতে পারে কিংবা সেই তথ্যটি কখনোই না জানা যেতে পারে। আবার ভুল মানুষের ফাঁদেও পা পড়তে পারতো। তাই তথ্যের সংকট এবং যে প্রতিষ্ঠানগুলো এ ধরনের প্রশিক্ষণ দেয় তাদের প্রচার কম থাকা তখনকার সময়ে এই পেশায় আসার পেছনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিলো।

আপনার জীবনে এখন পর্যন্ত যত অর্জন এর পেছনে কারো বিশেষ অনুপ্রেরণা কী ছিল?

সুমায়া হোসাইন: আমার জীবনে এখন পর্যন্ত যত অর্জন এর পেছনে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ছিল আমার স্বামী। দ্বিতীয়বারের কর্মজীবনে প্রবেশ পথ তার কারণেই এতটা মসৃণ ছিলো। কারণ তখন আমার মেয়ে মাত্র দুই মাস বয়সী। সেই অবস্থায় এই চমৎকার বন্ধুর সহযোগিতা সত্যিই অনেক বড় পাওয়া। এখন পর্যন্ত তার অনুপ্রেরণা একজন কর্মজীবী নারী হওয়ার পাশাপাশি একজন যথার্থ জীবনসঙ্গী হওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সাহস যোগায়।

সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কেউ যদি নিজেকে তৈরি করতে চায়, তার প্রস্তুতি কেমন হবে?

সুমায়া হোসাইন: নিউজ দেখাটাকে নিয়মিত চর্চায় নিয়ে আসতে হবে। কারন মত বেশি নিউজ পড়া শুনবো তত শুদ্ধ করে পড়ার অভ্যাস তৈরি হবে। তবে এক বা দুজনের উপস্থাপনা নয় সব চ্যানেলের সবার নিউজ পড়ার ধরন দেখতে হবে। এর মধ্যে যাকে সবচেয়ে ভালো মনে হবে তার উচ্চারণ, বলার ধরন, কীভাবে ওই বিষয়টা উপস্থান করছে, বলার সময় মুখভঙ্গি, ক্যামেরার দিকে তাকানো, আবেগ প্রকাশ এমন সমস্ত কিছু পর্যবেক্ষণ করতে হবে। নিয়মিত চর্চায় সেগুলো আয়ত্বের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। এছাড়াও সংবাদপত্র পড়া অর্থাত নিউজের সঙ্গে থাকা। এরপরও যদি মনে হয় প্রশিক্ষণ নেয়া দরকার তাহলে এখন তো অনেক সুযোগ রয়েছেই। আত্নবিশ্বাসী হতে হবে। নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। তবে কোনভাবেই ভুল পথে যাওয়া যাবে না কিংবা দক্ষতার উপর জোর না দিয়ে নানা প্রলোভনে পড়ে এই পেশায় আসা উচিত নয়। তাহলে সহজে প্রবেশ করতে পারবে কিন্তু স্থায়ী হয়া যায় না। তাই নৈতিকভাবে নিজস্ব দক্ষতাকে পুঁজি করেই এই পেশায় আসা উচিত।

কর্মজীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও আপনি সফল। এই বেঁচে থাকাটা কেমন মনে হয়?

সুমায়া হোসাইন: বেশ চমৎকার। আমার জীবনকে আমি আমার মতো করে চেয়েছি। তেমন করে পেয়েছিও। এবার পরিবেশ যত অনুকুল আর প্রতিকুলই থাকুক না কেন। কারণ আমার প্রতিনিয়ত শেখার ইচ্ছা,দক্ষতা, কঠোর শ্রম আর সহজেই সবশ্রেণীর মানুষের সঙ্গে মিশতে পারার সহজাত ক্ষমতা আমাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে। আজীবন আমি থাকতেও চাই নির্লোভ। জীবনের জন্য যতটা প্রয়োজন ততটাই যেন সৎভাবে অর্জন করতে পারি সেই চর্চাই করে যাই প্রতিনিয়ত। তাই প্রতিদিনই বেঁচে থাকাটা উপভোগ করি।

সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ

সুমায়া হোসাইন: ঢাকা টাইমস এবং আপনাকেও ধন্যবাদ।

(ঢাকাটাইমস/৩০জানুয়ারি/টিএ/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
Reimagining Management Education: The Role of Quantum Mechanics as a Metaphorical Lens for Complex Leadership
চরফ্যাশনে ১৪ কোটি টাকার অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ
রক্তাস্বল্পতা দূর করে প্রাকৃতিক মহৌষধ ভেষজ আমড়া, ক্যানসার প্রতিরোধও সিদ্ধহস্ত
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৪১ জন ফিলিস্তিনি
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা