সংবাদ সম্মেলনে বিএসইসির চেয়ারম্যান
করপোরেট করের ব্যবধান বাড়লে পুঁজিবাজারে বহুজাতিক কোম্পানির আগ্রহ বাড়বে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও তালিকাবহির্ভূত কোম্পানির মধ্যে কর-বৈষম্যের কারণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পুঁজিবাজারের প্রতি আগ্রহ কমেছে বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বহুজাতিক কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে হলে করপোরেট করের ব্যবধান বাড়াতে হবে।
দুবাইতে রোড শো উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ে বিএসইসির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, আগে তালিকাবহির্ভূত করের ব্যবধান ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি বাজেটে সেটি কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। এতে করে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আনতে এ দুই ক্যাটাগরির করপোরেট করের ব্যবধান ১৫ শতাংশের প্রস্তাব করা হবে ।
তিনি বলেন, বহুজাতিক কোম্পানিগুলো পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হলে তাদের রুলস রেগুলেশনের মানতে দুই থেকে তিন শতাংশ আরো খরচ বেড়ে যাবে। এতে করে তারা তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তাছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর টাকার প্রয়োজন হয় না। তাদের অতিরিক্ত অর্থ রয়েছে। যে কারণে তাদের কিছু ইনসেনটিভ দিতে হয়। এ ক্ষেত্রে তাদের ইনসেনটিভ দেয়ার একমাত্র উপায় কর ছাড়। কর্পোরেট কর হারের ব্যবধান ১৫ শতাংশ করা হলে তারা তালিকাভুক্ত হওয়ায় ক্ষেত্রে আগ্রহী হবে।
দুবাইতে আয়োজিত রোড শো এর বিষয়ে তিনি বলেন, দুবাইতে আয়োজিত প্রতিটি প্রোগ্রাম ভিন্ন ফ্লেভার থাকবে। সেখানে বাংলাদেশকে পজেটিভ ভাবে তুলে ধরা হবে। এ আমরা আশাকরি এতে বিনিয়োগ আসবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে সুবিধা সমূহ ও সম্ভাবনা নিয়ে প্রথম বারের মতো এই রোড শো শেষ হবে। এটিই আমাদের প্রথম রোড শো। এরপর পর্যায়ক্রমে পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও রোড শো করা হবে বলে জানান তিনি।
দুবাইয়ে ডিজিটাল বুথ ওপেন করা হয়েছে। সেখানে থেকে বিদেশিরা বিনিয়োগ করতে পারবেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সুকুপ বন্ড ও অবকাঠামো খাতে লংট্রাম ইনভেস্টমেন্টে আহবান জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ফাইন্যান্সিয়াল সিকিউরিটি নিশ্চিতে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। আইপিও আনার ক্ষেত্রে যে কোম্পানিগুলো ফান্ডামেন্টাল লো সেগুলো রিজেক করা এবং যেগুলোর ফান্ডামেন্টাল ভালো সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে টার্নওভার বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টার্ণওভার যেটি হচ্ছে সেটি যাতে সাসটেইনেবল হয় সেই লক্ষ্যে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী করার লক্ষ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে প্রথম ‘রোড শো’ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। চারদিন ব্যাপি এই রোড শো ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ।
(ঢাকাটাইমস/২ফেব্রুয়ারি/ এসআই)