মশার যন্ত্রণায় নাকাল সাভারবাসী

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০২ মার্চ ২০২১, ১৭:৫২| আপডেট : ০২ মার্চ ২০২১, ১৭:৫৮
অ- অ+

মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাভারের জনজীবন। এ যেন এক মশার রাজ্য। শীত শেষে গরম পরার সঙ্গে সঙ্গেই ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মশার বিস্তার। শুধু রাতেই নয়, দিনের আলোতেও মশার কামড়ে নাজেহাল এখানকার মানুষ।

দিনেও অফিস কিংবা বাসা-বাড়িতে মশার কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হচ্ছে। আর সন্ধ্যা হলেই মশার উপদ্রব তীব্র আকার ধারন করে। তবে মশা নিধনে প্রতি বছর আলাদা বাজেট থাকা সত্ত্বেও এ বছর পৌর কর্তৃপক্ষ মশা নিধনে এখনো তেমন কোনো উদ্যোগ নেননি।

সাভার পৌরসভার প্রতিটি এলাকার বাসিন্দা মশার যন্ত্রণায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গরমকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মশার উপদ্রব এতো পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে যে, আমাদের দৈনন্দিন কাজ করাটাই দায় হয়ে পরেছে। কয়েল, স্প্রে বা মশারি টাঙিয়েও মশার উৎপাত থেকে রেহাই মিলছে না।

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাভারের এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে ক্ষোভ জানিয়ে অনেকেই নানা রকম পোস্ট দিচ্ছেন। এদের মধ্যে ইঞ্জিনিয়ার শেখ মনির হোসাইন নামে একজন লিখেছেন, ‘স্মরণকালের সর্বোচ্চ মশা আক্রান্ত সাভারবাসী। বিশেষ করে ১ নম্বর ওয়ার্ড। মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

তরীকুল ইসলাম নামে আরেকজন ফার্মাসিস্ট লিখেছেন, ‘মশার উপদ্রব এতোই বেড়েছে দিনের বেলাও রক্ষা পাই না। এগুলো কি দেখার কেউ নেই?’

সাভার উপজেলা শিল্পাঞ্চল হওয়ায় কলকারখানার দূষিত তরল বর্জ্য, বিভিন্ন খাল ও ডোবায় জমে থাকা নোংরা পানি, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা এবং পৌরসভা কর্তৃক বিভিন্ন স্থানে বসানো ডাস্টবিন নিয়মিত পরিস্কার না করায় মশার বিস্তার ক্রমশ বাড়ছেই। আর এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে শিশুসহ সব বয়সী মানুষ।

এছাড়া মশার উৎপাতে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের পড়াশুনাতেও চরম ব্যাঘাত ঘটছে। এ বিষয়ে তাদের অভিভাবকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান, সারাদিন মশার উপদ্রব থাকলেও সন্ধ্যার পর পরই এর মাত্রা আরো কয়েকগুন বেড়ে যায়। ফলে সন্ধ্যায় মশার কয়েল জ্বালিয়ে বা মশার ওষুধ স্প্রে করে শিক্ষার্থীদের পড়তে বসতে হয়। এমনকি মশার উৎপাতে নাজেহাল হয়ে মশারি টাঙিয়েও ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করতে হচ্ছে। এরই মধ্যে অনেকই মশার কামড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছে বলেও জানান তারা।

স্থানীয় এক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল এই তিন মাস পর্যন্ত মশা বংশবিস্তার ঘটায়। এ সময় মশাবাহিত রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হয়। মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, চিকনগুনিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এজন্য সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/২মার্চ/কেএম)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যারা পিআর নির্বাচন চাইছে তারা ‘চরের দল’: সালাহউদ্দিন
ইমন-হৃদয়ের অর্ধশতকে লড়াকু পুঁজি বাংলাদেশের
মালয়েশিয়ার অভিযোগে জঙ্গি সন্দেহে ঢাকায় গ্রেপ্তার তিনজন কারাগারে
পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী নেতাদের দমন-পীড়ন ছিল ইয়াজিদের সমতুল্য: তারেক রহমান
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা