করোনা টিকার উৎপাদনে যাচ্ছে দেশীয় কোম্পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ মে ২০২১, ২০:৩৭| আপডেট : ১৬ মে ২০২১, ২০:৪০
অ- অ+
ফাইল ছবি

অবশেষে দেশেই উৎপাদন হচ্ছে মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা। ইতিমধ্যে দেশীয় কয়েকটি কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এর মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস এগিয়ে আছে। এই কোম্পানিকেই চীনের আবিষ্কৃত সিনোফার্মের টিকা উৎপাদনের অনুমতি দিতে পারে সরকার।

তবে এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। আগামীকাল সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। অনুমতি পেলে চলতি মাসেই দেশে করোনার টিকা উৎপাদনের কার্যক্রম শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাইয়ে কোর কমিটিতে সবচেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছে ইনসেপ্টা। অনুমতি পাওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে দেশীয় কোম্পানিটি। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ইনসেপ্টাকে অনুমতি দেয়ার কথা বলা হলেও তা নাকচ করেছে অধিদপ্তর।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে বলেছেন, টিকা তৈরির জন্য এখনো কোনো কোম্পানিকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তিনি জানান, আগামীকাল সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।

এদিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বলেছে, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালসকে চীনা সিনোফার্ম টিকা উৎপাদনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে টিকা উৎপাদনের অনুমতি এখনো কাউকে দেয়া হয়নি। এ ধরনের খবর প্রকাশ করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি না করতে অনুরোধ জানায় সরকারি সংস্থাটি।

এর আগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানিয়েছিল, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দেয়া যায় কি না তা প্রাথমিক সক্ষমতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিকা সংগ্রহ ও বিতরণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সংক্রান্ত কমিটি।

এদিকে রেনেটা এবং ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের অনুমতি চেয়ে ঔষধ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছে। গত ২ মে রাশিয়কে এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা। এর দুই দিন পর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সেই বিষয়টি তারা জানিয়েছে।

চীনের টিকার পাশাপাশি রাশিয়ার টিকাও উৎপাদন করতে আগ্রহী পপুলার, হেলথকেয়ার, ইনসেপটা ও রেনাটা। এজন্য রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগও করেছে কোম্পানিগুলো।

ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সেরাম থেকে তিন কোটি ডোজ টিকা আনতে গত বছরের ৫ নভেম্বর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে ঢাকা। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় ধাপে দেশে তিন কোটি ডোজ টিকা পৌঁছানোর কথা থাকলেও সিরাম তা পারছে না। দুই ধাপে ৭০ লাখ ডোজ টিকা দিতে পেরেছে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি টিকা পাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে বড় অনিশ্চয়তা। এই অবস্থায় বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। চীন তাদের তৈরি টিকার পাঁচ লাখ ডোজ উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। এছাড়া চীন ও রাশিয়ার তৈরি টিকা দেশে উৎপাদনের সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার।

(ঢাকাটাইমস/১৬মে/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মুন্সীগঞ্জে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: দলিল লেখকপট্টিতে পুড়ে ছাই ২০ দোকান
আজ রাত আড়াইটায় নারী ফুটবল দলকে সংবর্ধনা দেবে বাফুফে
ঢাকা বিভাগের ৫৬টি আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা
ইলন মাস্ক 'আমেরিকা পার্টি' গঠনের ঘোষণা দিলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের ভাঙন
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা