পেটের দূষিত বায়ু দূর করার উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ জুন ২০২১, ১৫:১৪| আপডেট : ০৫ জুন ২০২১, ১৫:৩৩
অ- অ+

সাধারণত নানা কারণে অন্ত্রে গ্যাস জমা হয়। যখন আমরা খাই এবং কথা বলি, গ্যাস সাধারণত মুখের মাধ্যমে শরীরে ঢোকে। বৃহদন্ত্রে (লার্জ ইন্টেস্টাইন বা ইন্টেস্টিন) থাকা জীবাণুগুলো খাবার ভেঙে ফেলে, যে ব্যাপারটাও গ্যাস সৃষ্টি করে। পেট বা উদরের বায়ু মলদ্বার অথবা মুখের মাধ্যমে বের করা স্বাভাবিক।

ব্যায়াম বা শারীরিক কসরত না করলে, পানি কম খেলে বা খাবারে আঁশের পরিমাণ কম থাকলে পেটে গ্যাস তৈরি হতে পারে। এ ছাড়া হজম না হলে পেটে গোলমাল দেখা দিতে পারে।

অনেক সময় অত্যধিক বায়ু জমেও পেট সারাক্ষণ ফুলে থাকে। খাওয়া-দাওয়া এবং জীবনযাপনে কিছু অভ্যাসের ফলে এই সমস্যা তৈরি হয়। জমে থাকা বায়ুর ফলে পেট ফুলে থাকে। এবং শরীরেও সারাক্ষণ একটা অস্বস্তি হয়। কী করে রেহাই পাবেন, জেনে নিন।

অনেক সময় আমরা তাড়াহুড়ো করে খেতে গিয়ে অনেকটা খাবার একসঙ্গে মুখে পুরে দিই। তাতে খাবারের সঙ্গে অনেকটা হাওয়াও পেটে চলে যায়। যত কম করে খাবার নেবেন, অনেকক্ষণ ধরে চিবিয়ে খাবেন, তত হজম করতে সুবিধা হবে।

কিছু কিছু খাবার খাওয়ার পর কি অস্বস্তি বেড়ে যায়? হয়ত সেই খাবার আপনার সহ্য হচ্ছে না। অনেকের যেমন দুধ খেলেই গ্যাসের সমস্যা হয়। তাতে পেটও ফুলে থাকে। কিন্তু তারা সেটা বুঝতে পারেন না। তাই একটু নিজের শরীরকে বোঝার চেষ্টা করুন। কোনও খাবার খেয়ে অস্বস্তি বাড়লে পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। দই খেলে হজম ভালো হয়, গ্যাস কমে। খাবারের পর টকদই খাওয়া বেশ কার্যকর।

অনেকেই দুর্গন্ধযুক্ত বায়ুত্যাগ করেন। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন দুর্গন্ধযুক্ত বায়ুত্যাগ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। বিজ্ঞানীরা জানান, পাকস্থলীতে অল্পপরিমানে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস উৎপাদন হয়। যার কারণে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু শরীর থেকে বেরিয়ে আসে।

ধূমপান করলেও শরীরে বাড়তি বায়ু প্রবেশের পথ খুলে যায়। বোতলের ঠান্ডা পানীয়, সোডা বা অন্য যে কোনও কার্বোনেটেড পানীয়ের মধ্যে দিয়েও একই ভাবে হাওয়া ঢুকছে পেটে। চুইংগাম চিবানোর অভ্যাস যাদের, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। এই অভ্যাসগুলো বদলাতে পারলে অনেকটাই রেহাই পাবেন।

তেলের ভাজাপোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার মোটামুটি সবার ক্ষেত্রেই গ্যাস উৎপন্ন করে। এই খাবারগুলো কম করে বা না খাওয়াই ভালো।

যারা বেশি করে লবণ খান, তাদের গ্যাস ও হজমে সমস্যা হতে পারে। কলায় যে পটাশিয়াম থাকে, তাতে শরীরের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকে। কলা হজমে সাহায্য করে। দেহ থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে দেয়।

শরীর ডিহাই়ড্রেটেড থাকলেও পেট ফোলার সমস্যা হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খান। খাবার দ্রুত হজম করার জন্য হালকা গরম পানি খেতে পারেন। এছাড়া হালকা গরম পানির সঙ্গে লেবুর রস যুক্ত করলে তা প্রাকৃতিক মলবর্ধক হিসেবে কাজ করে। এটি পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার রাখতে কাজ করে।

প্রতিদিন নিয়ম মেনে ৬ থেকে ৮ গ্লাস পানি পান করুন। খাদ্য তালিকায় সেসব সবজি ও ফল রাখুন যাতে পানির পরিমাণ বেশি। যেমন লাউ, কাঁচা টমেটো, আনারস, কলা, তরমুজ, পেঁপে, আপেল ইত্যাদি। এর থেকেও শরীরে পানির জোগান সঠিক পরিমাণ হয়। ফলে পাচনক্রিয়া সক্রিয় থাকে। খাবার ঠিক মতো হজম হয়। পানি পানের এই অভ্যাস কয়েক সপ্তাহ ধরে মেনে চললে আপনার পেটের সমস্যা কমে যাবে। পেট একদম পরিষ্কার থাকবে।

পরিশেষে বায়ু চেপে না রেখে নির্গত করতে হবে। অধিক পরিমাণ এন্টিবায়োটিক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অতিনিদ্রা, অতিজাগরণ, অতিস্নান, অতিপান, অতি ভোজন, শরীরকে অসুস্থ করে তোলে। তাই, সুস্থ থাকতে পরিমিত আহার, পরিমিত নিদ্রা ও শরীরকে দূষিত বায়ু মুক্ত রাখা খুব দরকার।

(ঢাকাটাইমস/৫জুন/আরজেড/এজেড)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দোহার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল হক গ্রেপ্তার
‘প্যালেস্টাইন-২’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালাল ইয়েমেন
সুবর্ণচর এক্সপ্রেস দ্রুত চালুর দাবিতে নোয়াখালীতে দেড়ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ 
জেফারের তীরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দর্শক-শ্রোতার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা